গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : এক সময় গোপালগঞ্জ অঞ্চলে লাঠি খেলার খুব প্রচলন ছিল। সামাজিক বা ধর্মীয় কোন অনুষ্ঠান হলে  গ্রাম্য এই লাঠি খেলার ধুম পড়ে যেত। কিন্তু, আধুনিক সভ্যতার কারণে দিন দিন এ খেলাটি গ্রাম-গঞ্জ থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে ।

এ পেশার সাথে যারা জড়িত তারাও তাদের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছে। ফলে গ্রামের মানুষের বিনোদনের এ খেলাটি এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। তাইতো পুরানো স্মৃতিকে ফিরে পেতে বৃহস্পতিবার বিকালে পহেলা বৈশাখ ঊপলক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজন করে এই লাঠি খেলার।

প্রতিষ্ঠানের আশপাশ ও জেলা শহর থেকে শত শত নারী পুরুষ ভিড় করে এই ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে। বাজনার তালে তালে খেলোয়াড়রা তাদের অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। একে অপরের সাথে লাঠি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আবার দল বেধে আগত দর্শকদের সালাম বিনিময় করেন। এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে খেলোয়ারদের উৎসাহ যোগায়।

সব মিলিয়ে সেখানে সৃষ্টি হয় লাঠি খেলা দেখতে আশা দর্শকরা জানান, লাঠি খেলাটি গ্রাম্য স্মৃতিকে লালন করে। এই খেলাটির মধ্যে রয়েছে বাঙ্গালিত্ব। তাইতো যেখানেই এই খেলা হয় সেখানেই আমি ছুটে যাই। এই খেলাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় পুরাতন ঐতিহ্যের কথা। তাই আমাদের সবার উচিৎ এইসব গ্রাম্য খেলার আয়োজন করা।

নতুন প্রজম্ম বাঙ্গালির পুরাতন ঐতিহ্য সম্পর্কে গোপালগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধ্যক্ষ এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিনদিন ব্যপ্যী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে লাঠি খেলাকে আমরা বেশী গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ এই খেলাটির সঙ্গে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে ধনী গরীব সবার কথা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। বাংলা ১২ মাসের প্রথম মাস হলে বৈশাখ মাস। বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের এই লাঠিখেলার আয়োজন।

(এমএইচএম/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০১৫)