সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মিল্ক ভিটা মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারো কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।

শনিবার সিরাজগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন ‘মিল্ক ভিটা’র বাঘাবাড়ি দুগ্ধ কারখানা ও লাহিরী মোহনপুর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার, মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদের হোসেন লিপু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহির উদ্দিন বাবর উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করতে দেশকে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট জাতির জনকের মৃত্যুর পর এই কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে মিল্ক ভিটার কার্যক্রম আবারো বিকাশত হয়।

তিনি বলেন, মিল্ক ভিটার মাধ্যমে গ্রামের পণ্য আসছে শহরে। শহরের অর্থ যাচ্ছে গ্রামে, ফলে দারিদ্র বিমোচনে গড়ে উঠছে আর্থ সামাজিক সেতুবন্ধন। তিনি এ সেতুবন্ধন ধরে রাখতে মিল্ক ভিটার কর্মকর্তা কর্মচারী ও দুগ্ধ সমবায়ীসহ সবাইকে আরো সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে মিল্ক ভিটার দুগ্ধ সমবায়ী সদস্যর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ৩৭টি দুগ্ধ কারখানা ও ৩৩টি দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র দেশে রয়েছে। মিল্ক ভিটার মাধ্যমে দৈনিক প্রায় আড়াই লাখ লিটার দুগ্ধ সংগ্রহ করা হয়। এর মাধ্যমে দেশে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদার বড় অংশ মেটানো হচ্ছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৮, ২০১৫)