বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক যুগ সময় ধরে প্রসূতি নারীর সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে উপজেলার প্রসূতি মায়েরা বিশেষ করে দরিদ্র প্রসূতি  নারীরা নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। সরকারি হাসপাতালে এ সেবা না না থাকায় পাশ্ববর্তী জেলার বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে হত। এতে অধিক সময় ও অধিক অর্থ ব্যায় হত।

সরকারি হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে এ সেবা না থাকায় উপজেলার দরিদ্র প্রসূতি রোগিরা ঝুকি ও দূর্ভোগের মধ্যে ছিল। বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগ পর এক প্রসুতির অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের প্রসব করেছেন। অপরেশনের পরে সদ্য প্রসব হওয়া মা ও তার সন্তান সুস্থ্য আছেন। ওই প্রসুতি মাতা উপজেলার বড়যাদবপুরা গ্রামের কবির আকনের স্ত্রী রেকসনা পারভীন(৩২) ।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানাগেছে, প্রায় একযুগ পূর্বে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতিমায়ের সন্তান প্রসবসহ সকল প্রকার অপারেশন করা হতো। এর পরে এই হাসপাতালে অপারেশনের যন্ত্রাংশ সহ অভিজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে আর কোন ধরণের অপারেশন এই হাসপাতালে করা হতনা। শনিবার রাতে বড়যাদবপুরা গ্রামের কবির আকনের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে বামনা হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হুমায়ুন কবীর শাহিন অপারেশনের মাধ্যমে ওই প্রসুতির নিরাপদ সন্তান প্রসব করান। বর্তমানে মা ও সন্তান সুস্থ্য আছেন।
সদ্য প্রসব করা সন্তানের মা রোকসানা পারভীন জানান, তার এর পূর্বে আরো তিনটি সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে এক সন্তান অপারেশন করা হয়েছিলো। ওই অপারেশনের সময় বেসরকারী ক্লিনিকে হাজার হাজার টাকা দিতে হয়েছে তার। তাই এবারে তার পরিবার সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করায়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে নামমাত্র খরচে অপারেশন করে সন্তান জন্ম দেওয়ায় আমি খুব খুশী।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির শাহিন জানান,আমি এখানে সদ্য যোগদান করেছি। আমাকে খুব ঝুকি নিয়ে এ কাজটি করতে হয়েছে। হাসপাতালে অপারেশন কক্ষ রয়েছে কিন্তু অপারেশনের যন্ত্রাংশের ব্যবহার ছিলনা, নেই রুগী অজ্ঞান করার চিকিৎসক। সহকর্মীরা ছিল সবাই নুতন। সব কিছুই নুতন করে শুরু করতে হয়েছে। তবুও আল্লাহর রহমতে সফলতার এক ধাপ এগুতে পেরেছি। এখন থেকে একযুগ বন্ধ থাকা প্রসূতি নারীর সেবা সচল থাকবে।

(এমএইচএম/পিবি/ এপ্রিল ২০,২০১৫)