গাইবান্ধা  প্রতিনিধি : মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাইবান্ধা সদর, সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত এবং অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। এছাড়া ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার গলনা নরায়নপুর গ্রামের নবাব আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম।

ঝড়ের কারণে মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে গাইবান্ধা জেলা শহর ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বুধবার বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়নি। গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলকার নাইন বলেন, ঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়ার কারণে গাইাবান্ধা-পলাশবাড়ী ৩৩ কেভিসহ তিন উপজেলার বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ চালু করা যাচ্ছে না।

এদিকে ঝড়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চারটি ও গিদারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শ্রেণিকক্ষ বিধ্বস্ত হয়। গিদারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর বলেন, আমার বিদ্যালয়ের চারটি শ্রেণি কক্ষ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শ্রেনি কক্ষ মেরামত না করা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঝড়ের কারণে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে মাঠে আমাদের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করছেন।

(আরআই/এএস/এপ্রিল ২২, ২০১৫)