পটুয়াখালী প্রতিনিধি : বর্তমান ও ভষ্যিতের কথা চিন্তা করে দিশেহারা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার শত শত কৃষক। লোনা পানি উঠিয়ে গোটা এলাকা তলিয়ে দেয়ায় আউস ও আমন ফসল থেকে বঞ্চিত হওয়ার আসংখ্যা তাদের। আ’লীগ নেতা এনামুল ইসলাম লিটু ও তার বাহিনী ওয়াপদার স্লুইজগেট দিয়ে লোনা পানি উঠিয়ে গোটা এলাকা তলিয়ে দিয়েছে।

এতে অন্তত ৪০০০ একর জমির ফসল থেকে বঞ্চিত হওয়ার আসংখ্যা দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। ইতি মধ্যেই ইরি ধান ও তরমুজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সহ হঠাৎ করে লোনা পানি উঠানোর কারনে বেরী বাধের মধ্যে নদী নালা খাল বিলে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মিঠা পানির মাছ মরে এলাকা প্রায় মাছ শুন্য হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পচা মাছের গন্ধে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানান। সামুদ্রিক জলোচ্ছাস ও লোনা পানি থেকে জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষা করার জন্য উপকুলীয় এলাকায় ওয়াপদার বেরী বাধের অংশ হিসেবে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে ৫১ কিলোমিটার বেরী বাধ নির্মান করা হয়।

চাষাবাদের সুবিদার্থে পানি উঠা নামার জন্য ৮টি স্লুইজ গেট নির্মান করা হলেও চরগঙ্গা ও চর হলিমের গেট দুটি প্রধান গেট হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এলাকার কৃষকরা বলেন, এনামুল ইসলাম লিটু ও তার বাহিনী প্রতি বছরের মত এ বছরও চরগঙ্গা, চরহালিমের দুই স্লুইজ গেট দিয়ে লোনা পানি উঠিয়ে বিরাট এলাকা তলিয়ে দিয়েছে। এতে চরগঙ্গা, চরহালিম, কাটাখালী ও গাববুনিয়া এলাকার অন্তত ৪০০০ একর জমির ফসল থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। লোনা পানিতে বাগদা চিংড়ি ভাল হয় বিধায় কৃষকদের অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রতি বছর এই নেতা নিজের স্বার্থে তার বাহিনী নিয়ে লোনা পানি উঠিয়ে গেট ছেড়ে মাছ ধরে, আর ফসল থেকে বঞ্চিত হই আমরা। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, ইরি ক্ষেতে মিঠা পানি দিতে না পারায় ফসল থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

চর গঙ্গার কৃষক সোহরাব মোল্লা বলেন, গরু, মহিষ পানি খেতে পারছে না, পাগলের মত দৌরাদৌরী করছে বিভিন্ন পুকুর থেকে মিঠা পানি এনে গরু মহিষকে খাওয়ানো হচ্ছে। এনামুল ইসলাম লিটুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(আরআর/এএস/এপ্রিল ২২, ২০১৫)