তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : গত মঙ্গলবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে তাড়াশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে বোরো ধান, গাছপালা, বিদ্যুতের খুটি ও অধিকাংশ কাচা ঘরবাড়ির চাল ঝড়ে উড়ে গেছে। বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজসহ অনেকেই ঘরবাড়ি ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছে। সরকারিভাবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সহযোগিতা করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, তাড়াশে গত ২দিনে কালবৈশাখী ঝড়ে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কাচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুটি ও উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ পাকা মিনিকেট ও ২৯ জাতের ধান মাটির সাথে নুয়ে পরেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাল ঝড়ে উড়ে যাওয়াতে খোলা আকাশের নীচে ছাত্র-ছাত্রীরার ক্লাস করছে। তাড়াশের বিদ্যুতের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছে। অধিকাংশ গ্রামে গত ১সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পরেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সাইফুল ইসলাম ও তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করার কাজ চলছে। ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

তাড়াশের পেঙ্গুয়ারী গ্রামের অসহায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ এর একমাত্র থাকার টিন সেডের ঘরটি গত মঙ্গলবার ঝড়ে সম্পুর্ণ উড়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছেন ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ। বুধবার তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল আজিজের বাড়ি পরিদর্শনে যান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গাজী আব্দুস সোবাহান, সাংগঠনিক কমান্ডার গাজী আব্দুর রহমান মিঞা। তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর গাজী আব্দুল আজিজের বাড়িতে সংসদের পক্ষ থেকে ২জন মুক্তিযোদ্ধাকে পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছে এবং তাৎক্ষনিক ভাবে গাজী আব্দুল আজিজকে ২হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি সরকারিভাবে অসহায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজকে সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

(এমএমএইচ/এএস/এপ্রিল ২২, ২০১৫)