ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আশপাশের গ্রামের ৫’শ স্বাধীনতাকামী যুবককে রাজাকারদের সহায়তায় ধরে নিয়ে এসে পাথরাজ নদীর পাড়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয়।

সেই গণহত্যায় আত্মদানকারীদের স্ত্রীরা বেঁচে আছেন অনাহারে অর্ধাহারে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও আজও অনেকেই বয়স্ক বা বিধবা ভাতার বাইরেই রয়ে গেছে। তারা আজও ভোলেনি সেই নারকীয় গণহত্যার কথা। জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে আজও তারা বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের খোঁজ-খবর নেয়নি, আর আজও পায়নি স্বজন হারানোর বিচার। দীর্ঘদিনের জমানো কষ্টের কথা জানালেন এ ভাবেই।

এলাকাবাসী জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী চারদিকে মানুষ মারছে শুনতে পেয়ে জগন্নাথপুর, চকহলদি, সিঙ্গিয়া, চন্ডিপুর, আলমপুর, বাসুদেবপুর, গৌরিপুর, মিলনপুর, খামারভোপলা, শুকানপুকুরীসহ বহু গ্রামের কয়েক হাজার বাঙালি নারী-পুরুষ ও শিশু বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে তারা ওঠে জাঠিভাঙ্গা এলাকায়। সেখানে এদেশীয় দোসররা সব পুরুষকে মিছিল করার কথা বলে নিয়ে যায় জাটিভাঙ্গা মাঠে। পাকবাহিনী সেখানে লাইন করে মেশিনগানের গুলিতে হত্যা করে সব পুরুষকে। হত্যাযজ্ঞ চলে বিকাল পর্যন্ত। বিকালে পাঞ্জাবীরা চলে গেলে এদেশীয় দোসররা পাশের নদীর পাড়ে লাশ ফেলে সামান্য মাটি চাপা দেয়।

এদিকে গণহত্যায় নিহতদের বিধবা স্ত্রীদের পুনর্বাসনে নেয়া হয়নি কোন কার্যকর পদক্ষেপ। ফলে তারা খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছে।

বিধবাদের পুনর্বাসনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট তাগাদা দিলে তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান ইউনিট কমান্ডার জিতেন্দ্র নাথ রায়।

(ওএস/পিবি/ এপ্রিল ২৩,২০১৫)