গাজীপুর প্রতনিধি :শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষাকে সহজেই ব্যয় সাশ্রয়ী করা সম্ভব। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তির এই সময়ে শিক্ষা হবে মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধির হাতিয়ার।

তিনি বুধবার বিকালে গাজীপুরে উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে সততা, দেশপ্রেম ও বাঙালি সংস্কৃতির আলোকে, অসাম্প্রদায়িক উদার দৃষ্টিভঙ্গীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অমর উক্তি ‘আমাকে সোনার মানুষ দাও, আমি সোনার বাংলা গড়বো’ এর স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানের সমাবর্তন বক্তা ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা, মানবিক বিকাশ, গণতান্ত্রিক চেতনার স্ফুরণ ও সংস্কৃতির মুক্ত আঙ্গিনা বিশ্ববিদ্যালয়। উ›মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-লার্ণিং, ভার্চুয়াল লার্ণিং ও ব্লেন্ডেড এডুকেশনসহ শিক্ষার নানাবিধ প্রযুক্তির কৌশল ব্যবহার করে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মাননান তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, এক হাজার ছয়শত স্টাডি সেন্টারের ২৪ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণের জন্য ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে। তিনি বলেন, সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়া হবে। ইতোমধ্যে এ কাজে ৯০% শেষ হয়েছে। এজন্য ওয়েব রেডিও, ওয়েব টেলিভিশন, মাইক্রো এসডি কার্ড, ভার্চুয়াল ইন্টার একটিভ ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার গ্র্যাজুয়েট এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

(এসএএস/এসসি/এপ্রিল২৩,২০১৫)