ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রেলওয়ে ডাক বিভাগের কার্যক্রমে চরম ক্রান্তিকাল চলছে। দেশের প্রাচীনতম ডাক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই প্রতিষ্ঠানটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুদীর্ঘ কাল ধরে ভুমিকা রাখছে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেলেও দাপ্তরিকভাবে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

ফলে স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ হারিয়ে ঈশ্বরদীতে রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে বৃটিশ আমল থেকে আজবধি একইস্থানে কার্যক্রম এখনও পরিচালিত করছে। প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানটি কেবল চিঠিপত্র আদান প্রদানই করেন না। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র এই ডাক বিভাগের মাধ্যমে আদান প্রদান করে থাকে। কিন্তু স্থান সংকুলানের অভাবে দেখা যায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে ডাকবিভাগ খোলা আকাশের নিচে মূল্যবান ডকুমেন্ট, চিঠিপত্র ও খাতাপত্র স্তুপাকারে ফেলে রাখে। চারিদেকে নেই কোন ঘেরা বা বাউন্ডারী ,নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদুপরি বৃহত্তম জংশন ষ্টেশনে বিভিন্ন প্রকৃতির লোক সমাগমও তুলনামূলকভাবে বেশী। ফলে যে কোন সময় সামান্য কারণেই এই সব মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট বা খোয়া যেতে পারে। আবার মুল্যবান জিনিষের উপর যে কোন ধরনের নাশকতাও হতে পারে। এসব মালামালের নিরাপত্তার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই।
ডাক বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ভবিষ্যৎও অন্ধকারাচ্ছন্ন। সকাল থেকে শুরু করে সারদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করলেও ওভারটাইম বা বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা নেই। রাতে ও দিনে দুই শিফটে কাজ করলেও তাদের জন্য নেই বাড়তি কোন সুবিধা। দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে নতুন লোক নিয়োগ করা হয়নি। অবসরে যাওয়ার পর জনবল কমে গেছে। সীমিত সংখ্যক লোকবল নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে।

(এসকে/পিবি/ এপ্রিল ২৩,২০১৫)