কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুরে চাঞ্চল্যকর জাসদ নেতা ইসমাইল হোসেন পাঞ্জের হত্যার একমাস পর ঐ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামী সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা।

আজ বুধবার দুপুর দেড় টায় র‌্যাব ক্যাম্পে গ্রেফতারকৃত আসামীদের উপস্থিত করে আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার আলী হায়দার লিখিত বক্তব্যে জানান, বুধবার ভোর পৌনে চারটায় কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার বারমাইল নামক স্থান থেকে পাঞ্জের হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ঐ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী দুলাল হোসেন (৩৯), জাকির হোসেন (২৯), সুমন শেখ (২৯)। এদের ৩ জনের বাড়ী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আহমদপুর কলাবাড়িয়া গ্রামে।
এছাড়া আরও গ্রেফতার হয়েছে পাশ্বর্বতী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা বাদেমাজু গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩৫) একই জেলার দামুড়হুদার শরিফুল ইসলাম সৈকত ওরফে রোমান (২৭), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা গভাবাড়িয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম ওরফে ফটিক ওরফে ফরিদ(৫৩) এবং কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের সাগর ইসলাম (২১)।
গ্রেফতারকৃতরা জাসদ নেতা পাঞ্জের হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে র‌্যাবের কাছে। গ্রেফতারকৃতদের পাঞ্জের হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার মিরপুর থানার এসআই আব্দুল আলীমের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। মামলার তদন্তকারী অফিসার আব্দুল আলীম জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা পরিকল্পনাকারীদের নামসহ আরও গুরুত্বপুর্ন তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে পাঞ্জের হত্যা মামলায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই এপ্রিল সকালে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের আহমদপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মিরপুর উপজেলা জাসদের সাবেক সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন পাঞ্জের। গুলিবিদ্ধ হন আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফি মন্ডল। চাঞ্চল্যকর এ পাঞ্জের হত্যা মামলায় কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৩ জনকে আসামী করা হয়।
(কেকে/এএস/মে ১৪, ২০১৪)