শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার রাউতারা স্লুইজ গেটের পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মেরামতের কাজ  সময়মত শেষ না হওয়ায় চলনবিল অধ্যুষিত তিন জেলার কৃষকেরা তাদের বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

প্রতি বছর এসময় বাঁধটির মেরামতের কাজ শেষ হলেও এবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড দুইমাস পর কাজ শুরু করেছে। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ পাবনা ও নাটোর।

পানি উন্নয়নবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর বাঘাবাড়ি-নিমাইচরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের রাউতারা স্লুইজ গেটের এই অংশ টুকু বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যায়। বোরো আবাদ ঘরে তোলার জন্য প্রতিবছর বাঁধটি মেরামত করা হয়। তা মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এবার এ বাঁধটির চলতি এপ্রিল মাসের মধ্য দিকে কাজটি সবেমাত্র শুরু করা হয়েছে। যে কারনে এলাকার কৃষকরা ফসল ডুবে যাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে।

গত ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সরেজমিন বাঁধ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে ঠিকাদার বাঁধের পাশেই মিনি ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে বাঁধ মেরামতের কাজ করছে। স্বল্প চওড়া জায়গার মধ্যে বালু ফেলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাউতারা গ্রামের কৃষক জমির উদ্দিন ও পোতাজিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এই বোরো ধানের ওপরই আমাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করতে হয়। রিং বাঁধটির বাঁধ পোল্ডার এরিয়ার মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর বোরা ধান আবাদ হয়ে থাকে। বর্তমানে ধান গুলো ফুলতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এখন বাঁধের পাশে বড়াল নদীতেও পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেলে এবাঁধটি মোরামত কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে যাবে।

বাঁধের ঠিকাদার প্রতিনিধি আব্দুস ছালাম জানান, গত ৪ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের কার্যাদেশ দিয়েছে। তাৎক্ষনিক কাজ শুরু করা হয়েছে। যদি আগে দিতো তা হলে কাজ এতদিন শেষ হয়ে যেতো।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এবার দেরীতে দরপত্র আহবান করা হয়। তবে কাজ শুরু হয়েছে, দ্রুত বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা হবে। আশা করি কোন অসুবিধা হবেনা।

উল্লেখ্য সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার নিকট থেকে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাঁচটি স্থানে মেরামত বাবদ ১ কোটি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

(এআরপি/এসসি/এপ্রিল,২০১৫)