কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে দুটি বসত ঘরে সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বামী ও পরিবারের স্বজনদের বেঁধে রেখে দুই গৃহবধুকে ধর্ষণসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।

সোমবার দিবাগত রাত তিনটায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে গুরুতর জখম গোলবানুকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার দুই গৃহবধুর জবানবন্দী গ্রহন শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। কারন পরিবারের দাবি সন্ত্রাসীরা তাদের ধর্ষন করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মুখোশপরা ৭/৮ জনের সশন্ত্র সন্ত্রাসী ঘটনার রাতে কৃষক আনোয়ার হোসেনের বসতঘরে হামলা করে। সন্ত্রাসীরা আনোয়ারকে বেধড়ক মারধর করে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাট করে। সন্ত্রাসীরা স্ত্রীর পরনের কাপড় দিয়ে তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে (৩০) পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী তান্ডব শেষে সন্ত্রাসীরা আনোয়ারকে সাথে নিয়ে প্রতিবেশী গোলবানুর বাসায় গিয়ে তাকে দরজা খুলতে বলে। স্ত্রী অসুস্থ্য এ খবর জানালে সরল বিশ্বাসে গোলবানু দরজা খুললে সন্ত্রাসীরা গোলবানুকে নির্মমভাবে মারধর করে ঘরে থাকা নগট টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নেয়। এ সময় তাদের বাঁধা দিতে এগিয়ে এলে গোলবানুর মেয়ে জামাই জাকিরকেও মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে বেঁধে রেখে জাকিরের স্ত্রীকে (২০) ধর্ষণ করে। ঘটনার শিকার পরিবারের লোকজন এ ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা বলছে।

আহত আনোয়ার হোসেন জানান, তার ঘরে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় রামদার উল্টোপিঠ দিয়ে আঘাত করে তাদের জখম করা হয় । এরপর তাকে(আনোয়ার) কৌশলে বাধ্য করা হয় প্রতিবেশী গোলবানুর ঘরের দরজা খুলতে। তিনি দরজা খুললে গোলবানু তার মেয়ে জামাই জাকিরকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে বেধে রাখে এবং জাকিরের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুন তালুকদার জানান, গ্রামবাসীর দাবি এটি একটি ডাকাতির ঘটনা। তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ঘটনার খবর শুনে গোটা এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। তাদের দাবি ডাকাতি কিংবা সন্ত্রাসী ঘটনা যেটাই হোক ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।

কলাপাড়া থানার এসআই বাদল জানান, ঘটনা শোনার পরই তারা আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে দুই গৃহবধুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। এজন্য তাদের ডাক্তারী পরীক্ষার উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পুলিশের দাবি এটি ডাকাতি নয়।

(এমকেআর/এসসি/এপ্রিল২৮,২০১৫)