স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জসহ দেশব্যাপী খুন, গুম, অপহরণের প্রতিবাদে ১৭ মে যাত্রাবাড়ীতে জনসভা করবে বিএনপি।

শহীদ ফারুক রোডে বিকালের ওই জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

জনসভা উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর বিএনপির যৌথ সভায় এ কথা জানানো হয়।

এ জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও যাত্রাবাড়ী জনসভার সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) যাত্রাবাড়ী মাঠ পরিদর্শন করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওখানেই জনসভা করার। এর আগে এ জনসভা নারায়ণগঞ্জে করার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় যাত্রাবাড়ীতে জনসভার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাত্রাবাড়ীতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ”

তরিকুল বলেন, “আশা করছি জনসভায় দশ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।”

তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, “ছাত্রদল, যুবদলসহ সব অঙ্গসংগঠনকে জনসভা সফল করতে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। বিগত দিনে কে কী করতে পেরেছি, আন্দোলনে আমরা সফল না বিফল হয়েছি, তা আমাদের বিবেক বলে দেবে। সামনে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আন্দোলন ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।”

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “নারায়ণগঞ্জে যে বীভৎস হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার জন্য আমাদের যা করণীয় ছিল তা করতে পারিনি। ফ্যাসিবাদী সরকার নারায়ণগঞ্জে আমাদের জনসভা করতে দেয়নি।”

খোকা বলেন, “যাত্রাবাড়ীর জনসভায় বৃহৎ গণজমায়েত করে প্রমাণ করে দেব, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে সারা দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে।”

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুস সালাম, বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অঙ্গসংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এস/মে ১৪, ২০১৪)