স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কামারুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহাবুব হোসেন।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে কামারুজ্জামানের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। ২৯ সেপ্টেম্বর আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দেন আসামিপক্ষ।

১২৪টি যুক্তিতে আপিল করেছেন আসামিপক্ষ। তাদের মূল আবেদন ১০৫ পৃষ্ঠার। আর এর সঙ্গে দুই হাজার পাঁচশ’ ৬৪ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

অভিযোগগুলোর মধ্যে ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত এবং ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ দু’টি অভিযোগ করা হয়েছে যথাক্রমে সোহাগপুর গণহত্যা ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে হত্যার দায়ে। ১ (বদিউজ্জামান হত্যা) ও ৭ (দারাসহ ছয় হত্যা) নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং ২ নম্বর অভিযোগে (অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানকে নির্যাতন) ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আর প্রমাণিত না হওয়া অন্য দুই অভিযোগ থেকে কামারুজ্জামানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ১, ২ ও ৭ নম্বর অভিযোগের ক্ষেত্রে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

(ওএস/এইচআর/মে ১৫, ২০১৪)