মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর শিবচরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌ রুটে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ ধরণের যান বাহনের কাছ থেকে পূর্ব নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বিআইডব্লিউটিএ। কাওড়াকান্দি নৌরুটে রাতে আটকে পড়া ফেরিগুলোকে সকাল ৬টার পর থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে বহুল প্রচার-প্রচারণা না থাকায় অনেক চালক অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে কিছুই জানে না। এ কারণে অনেক পরিবহণের চালকরা পড়ছেন বিপাকে।

কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের বিআইডব্লিটিএর এর ব্যবস্থাপক এম.এ সালাম মিয়া জানান, ১ মে সকাল ৬ টা থেকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌ রুটে চলাচলকারী ৫ ধরণের যান বাহনের কাছ থেকে পূর্ব নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বিআইডব্লিউটিএ।

যে সকল পরিবহনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয় হচ্ছে তা হলো- প্রাইভেট কার পূর্বের ৪২০ টাকার স্থলে বর্তমানে ৫শ টাকা, মাইক্রোবাস ৭৮০ টাকার স্থলে ৮৬০টাকা, পিকআপ ৭২০ টাাকার স্থলে ৮শ টাকা, মোটর সাইকেল ৬০ টাকার স্থলে ৭০ টাকা এবং রিক্সা-ভ্যাান (অটোরিস্কা)- ২০৪ টাকার স্থলে ২৭০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

এছাড়া যাত্রীবাহী ছোট বড়বাস এবং সকল ধরণের পণ্যবাহী ট্রাক বর্তমান অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধির আওতায় পড়েনি। যা পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া দিয়েই ফেরি পাড় হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কাওড়াকান্দি রাতে শিমুলিয়া ও কাওড়াকান্দি ঘাটে আটকে পড়া ছোট যানবাহনকে সকাল ৬টার পর অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফেরি হয়।

তবে ভাড়া বৃদ্ধির ব্যপারে বহুল প্রচার-প্রচারণা না থাকায় অনেক চালক অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে কিছুই জানে না। এ কারণে অনেক পরিবহণের চালকরাই পড়ছেন বিপাকে বলে এ সকল যানবাহনের চালকরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে কাওড়াকান্দি শিমুলিয়া নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চ ও স্পিবোটের যাত্রীদের ভাড়া পূর্বের নির্ধারিত ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। সরকারের পূর্ব নির্ধারিত বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। এ রুটের যাত্রীরা লঞ্চের অতিরিক্ত সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে ঘাট এলাকায় লঞ্চ থেকে কখনো মাঝ পদ্মা নদীর স্পিটবোটে চড়ছেন।

(এএসএ/অ/মে ০২, ২০১৫)