নাটোর(গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে রবিউল করিম (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রকে গলা কেটে ও বড়াইগ্রামে আবু বক্কর (৫৫) নামে এক লিচু ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

শনিবার গুরুদাসপুরের রশীদপুর এলাকায় চাকল বিলের মাঠের মধ্যে ঘাস ও কচুরি পানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় রবিউলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের চারদিন পর তার বিকৃত মৃতদেহ পাওয়া যায়। রবিউল হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার বন্ধু মারুফ হোসেন (১৯) ও ইব্রাহিম (১৮) নামে দুইজনকে আটক করে। আটক দু’জন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধারের পর নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, গুরুদাসপুর উপজেলার রশীদপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ও রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রবিউল করিম বুধবার নিখোঁজ হয়। শনিবার সকালে বাড়ির অদুরে চাকল বিলের মাঠের মধ্যে ঘাস ও কচুরি পানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তার গলাকাটা বিকৃত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। তার মাথা ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে গুড়িয়ে দেয়া হয়। মুখের দু’পাটি দাঁত বাহিরে বের হয়ে ছিল। স্থানীয় একটি সুত্র জানায়,আটক মারুফের মাদক ব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ড ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় রবিকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত রবির বাবা আজিজুল হক ইজ্জত বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে একই দিনে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দিঘইর গ্রামের আব্দুস সামাদের লিচু বাগান থেকে লিচু ব্যবসায়ী আবু বক্করের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবু বক্কর গুরুদাসপুর উপজেলার বেরগঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। আবু বক্কর দিঘইর গ্রামের আব্দুস সামাদের বাগান কিনে নিজেই পাহারা দিতেন। বাগান পাহারত অবস্থায় তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক দু’টি হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দু’টি ঘটনায় গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্ম ফাঁস হওয়ার ভয়ে স্কুল ছাত্র রবিউল হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। দু’টি হত্যাকান্ড উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

(এমআর/অ/মে ০২, ২০১৫)