ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ফুলপুরে গত বুধবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত খুন, বজ্রপাত, বিষপান ও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৫ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার ৪ টি গ্রামে আজ শনিবার বজ্রপাতে ১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। মারা গেছে ১ টি গরু।

 

সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মূষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সময় চরনিয়ামত গ্রামের মৃত আসর আলীর পুত্র শরাফত (৫০) মাঠে চড়ানো গরু আনতে গিয়ে গরুসহ বজ্রপাতে মারা যায়।

চরগোয়াডাঙ্গা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের কন্যা শিরিনা (১৭) বাড়ির আঙ্গিনায় ধানের আটি জড়োর সময় বজ্রপাতে আহত হয়। সাহাপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের পুত্র আঃ মালেক (২৩) ও আহাদ আলীর পুত্র রুবেল (১৯) বাহিরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। ছনধরা গ্রামের ফজলুল হকের কন্যা রুমত আরা (৪৫) বাড়িতে ইরি-বোরো ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঐ সময় ঝড়ো হাওয়ার সাথে শিলা বৃষ্টিও বর্ষিত হয়। ঝড়ে ভাইটকান্দি এলাকায় কিছু গাছ-পালা ভেঙ্গে পড়ে। উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুইজন নিহত ও আলোকদী গ্রামে একজন আহত হয়েছেন।

জানাযায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ক্ষেতের ইরি-বোরো পাকা ধান কাটতে গিয়ে হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মুসা আলী (৩০) ও জয়েজ উদ্দিনের পুত্র রমিজ (২৫) বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নিহত হয়। শনিবার আলোকদী গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী জেসসিন (২৬) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে উপজেলার শুনই গ্রামের মো. হাদে আলীর কিশোরী কন্যা ঝর্ণা (১৫) নানীর সাথে অভিমান করে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশবর্তী সামপুর গ্রামে নানা বাড়িতে সে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে। ঝর্ণার মামা জানায়, সে নানা বাড়ি থেকেই বেড়ে উঠছিল। তার নানীর সাথে অভিমান করে কীটনাশক পান করে।

এছাড়া পৌর শহরের কাজিয়াকান্দা এলাকায় ক্রিকেট ব্যাটের আঘাতে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

কাজিয়াকান্দার আব্দুল কদ্দুছ সরকারের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে ক্রিকেট খেলা দেখতে যায়। সেখানে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে গেলে একই এলাকার জামাতা মো. রুবেল মিয়া

জাহাঙ্গীরকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ
মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।

(এসআইএম/এএস/মে ০২, ২০১৫)