নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার হাজার বছরের ঐতিহ্য দেউলা গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একমাত্র মঠ-মন্দির সংস্কারের অভাবে আজ বিলুপ্তির পথে। এখনও মন্দিরটি হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য, কিছু মন-কাড়ানো পোড়া মাটির  নকশা সম্বলিত কারুকার্য নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্দিরটি সম্রাট অশোকের শাসন আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক এমনই দাবী এলাকার প্রবীনদের। পরবর্তীতে মহারাজ জগদিশ চন্দ্র রায় বাহাদুর এই মঠের রক্ষনাবেক্ষন করেন। তৎকালিন সময়ে মন্দিরটির পুরোহিতের দায়িত্বে ছিলেন হারান ঠাকুর। ২০ শতাংশ জমির ওপর তৈরি এই মঠ-মন্দিরটি তৎকালিন সময়ে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র পুজো আর প্রার্থনার স্থান হিসেবে গন্য ছিল।

সংস্কারের অভাবে বর্তমানে মন্দিরটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। হাজার বছরের দুর্লভ নকশাগুলোও আজ নষ্টের পথে। স্থানীয়রা আরও জানান, মন্দিরটির পাশে পুকুর খনন করার সময় একটি মূল্যবান দুর্লভ পাথরের মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। যা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রত্নতত্ব বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মন্দিরটির ভগ্নদশা। এমন অবস্থায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পুরোহিত দেবেশ চন্দ্র লাহিড়ীর তত্ত্বাবধানে পুজো করার ঐতিহ্যটি ধরে রেখেছেন। অচিরেই মন্দিরটির যথাযথ সংস্কার করে হাজার বছরের এই ঐতিহ্যটি সংরক্ষণ করার জোর দাবি এলাকাবাসীর।

এবিষয়ে পূজা কমটির সম্পাদক শ্রী কালীপদ পাল (৫৩) জানান, মন্দিরটি সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা স্থানীয়ভাবে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই এলাকার সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় এমপিসহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলের কাছে সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যটি সংস্কার করে টিকিয়ে রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান তারা।

(বিএম/এএস/মে ০৩, ২০১৫)