সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : চলনবিলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান কাটা শ্রমিক সংকট ও ধানের বাজার দাম না থাকায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মন প্রতি ধান কাটলে শ্রমিককে দেওয়া হচ্ছে ১০ কেজি হারে বেরন। তারপরও ধান কাটা শ্রমিক সংকট যাচ্ছেনা চলনবিলে।

তাছাড়া বর্তমান বাজারে ধানের দাম নেই বললেই চলে। প্রতি মন মিনিকেট ধান ৬৫০ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা। আর বিআর ২৯ মনপ্রতি ৫৭৫ টাকা থেকে ৬২০টাকা। গত বছর এই সময় মিনিকেট ধান বাজারে বিক্রি হত ৮শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা, আর ২৯ ধান বিক্রি হত ৬৭৫ টাকা থেকে ৭১০ টাকা পর্যন্ত।

ইতিমধ্যে আগাম জাতের মিনিকেট ধান কাটা শেষ হলেও নাবী জাতের বিআর-২৯ ও বিআর-২৮ ধান কাটতে তীব্র শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকরা। জমিতে যে ধান উৎপাদন হবে তার সিকি ভাগ ধান কাটা শ্রমিককে দেওয়ার পরও শ্রমিক সংকট যাচ্ছে না।

ঝড়ে ধান জমিতে নুয়ে পড়ায় ধানের ফলন কম হচ্ছে। প্রতিবিঘা জমিতে বিআর ২৮ ও ২৯ জাতের ধান ২২ মন থেকে ২৫ মন হারে ফলন হচ্ছে যা গত বছর হয়েছে ২৫ মন থেকে ৩০ মন হারে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় ঝড়ের কারণে এবার ফলন কম হচ্ছে বলে কৃষক জানিয়েছেন। তাছাড়া শিলা বৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আধাপাকা ২৯ ধান ঝড়ে গেছে। ধানের ফলন কম হওয়াতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় প্রতি মন ধান কাটার জন্য ১২ কেজি করে দিতে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, এত কষ্ট করে ধানের আবাদ করে যদি ধান কাটার সময় শ্রমিক না পাই এবং সিকিভাগের বেশী দিয়ে ধান কাটতে হয় তাহলে কৃষকের আর কিছুই থাকেনা। তাছাড়া বাজারে ধানের দাম না থাকায় কৃষক আরও বিপদে পড়েছে।

কৃষকরা জানান, ধান কাটার সময় কমপক্ষে প্রতি মন ধান ৭শ’ টাকা থেকে ৮শ’ টাকা বিক্রি করতে পারলে আমাদের কিছু লাভ থাকবে।

প্রতিবছর ধানের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও ধানের দাম কম পাচ্ছেন কৃষক। এ অবস্থায় চলতে থাকলে কৃষক ধানের আবাদ করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

(এমএইচ/পিএস/মে ০৬, ২০১৫)