লালমনিরহাট প্রতিনিধি : বুধবারের সুর্যোদয়টাও ছিল ছিটমহলবাসীদের কাছে পরাধীনতা আর শঙ্কার। যে পরাধীনতায় কেটেছে দীর্ঘ ৬৮ বছর। কিন্তু আজকের সূর্যোদয়টা লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর গোতামারীর ছিটমহলবাসীর কাছে স্বাধীন সূর্যোদয়।

বৃহস্পতিবার কাকডাকা ভোর থেকে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে ছিটমহলবাসী। প্রথম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে অনেকে কুশল বিনিময় করছেন। ছিটমহলবাসীর আনন্দ এক নজর দেখার জন্য পার্শ্ববতী গ্রামগুলো থেকে লোকজন তাদের বাড়িতে ভীড় জমায়। ছিটমহলবাসীদের কোমলমতি শিশুদের আনন্দেরও কমতি ছিলনা। নাচ, গান আর জাতীয় পতাকা নিয়ে আনন্দে মেতে উঠে তারা।

উত্তর গোতামারী ছিটমহলের হাজেরা বানু (৪০) জানান, ছিটমহলের বাসিন্দা ছিলাম বলে আমাদের বাচ্চদেরকে স্কুলে নিতে চাইতো না কেউ। তাই এতদিন শিশুদের গোপনে ভিন্ন নাম দিয়ে বিদ্যালয়ের ভর্তি করাতাম। আজ থেকে আর গোপন পরিচয়ে স্কুলে ভর্তি নয়।

লালমনিরহাটের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ৫৯টি ছিটমহলে বসবাসকারী আজ মুক্তির আলো দেখছে।

হাতীবান্ধার উত্তর গোতামারী ছিটমহলের আজিজুল ইসলাম বলেন, ভারতের রাজ্যসভায় অনুমোদনের খবরে তারা দারুণ খুশি। সেই সাথে ভারতীয় লোকসভায় বিলটি অনুমোদন হচ্ছে বলে তিনি আশা করছেন। তাই পুরো কাজ সম্পন্ন হলেই তারা ৬৮ বছরের বন্দী দশা থেকে মুক্ত হয়ে নাগরিক হতে যাচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার রাজ্যসভায় স্থল ও সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের পর ৬৮ বছরের বন্দী দশা থেকে মুক্তি পায় দু`দেশের ১৬২ টি ছিটমহলবাসী।

(ওএস/এএস/মে ০৭, ২০১৫)