শেরপুর প্রতিনিধি : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি ও মারকুটে ব্যাটসম্যান লিটন। একেকজন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় ‘আইকন’। এ তিন সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে ৮ মে শুক্রবার নিজেদের কাছে পেয়ে আনন্দে মাতলেন শেরপুরের রত্নাগর্ভা গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী ও শেরপুর স্পোর্টস একাডেমির ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। তারকারাও তাদের সাথে ছবি তোলে, অটোগ্রাফ দিয়ে, তাদের আবদার মিটিয়ে বড় হওয়ার গল্প করে ক্ষুদে শিশুদের চোখে বুনে দিলেন বড় হওয়ার স্বপ্নের বীজ।

স্থানীয়ভাবে শহরের চাপাতলি এলাকায় নব প্রতিষ্ঠিত রত্নাগর্ভা গ্রামার স্কুলের পক্ষ থেকে জাতীয় ক্রিকেট দলের এ তিন সাবেক তারকা ক্রিকেটারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের পরিচালক রাষ্ট্রপতি তনয় রাসেল আহমেদ তুহিন। রত্নাগর্ভা গ্রামার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মেজর (অব:) সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, পৌর মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমান, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।

এ উপলক্ষে রত্নগর্ভা গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দোয়েল একাদশ ৯ উইকেটে (৮২/১) শাপলা একাদশকে (৭৮/৮) পরাজিত করে। সংবর্ধিত অতিথিরা খেলাটি উপভোগ করেন। পরে শেরপুর স্পোর্টস একাডেমীর ক্ষুদে ক্রিকেটারদের সাথে জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করে শিশুদের উৎসাহিত করেন। বিকেলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

সংবর্ধনার জবাবে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, বর্তমানে বিসিবির চীফ ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান বলেন, আজকের শিশুরাই আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ। বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে থেকেই আগামীর আগামীর তারকারা বেরিয়ে আসবে, যারা দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেবে, বিশ্বের বুকে দেশের মাতা উঁচু করে রাখবে, সুনাম ও সম্মান বয়ে আনবে। শিশুদের উৎসাহিত করতেই রত্নাগর্ভা গ্রামার স্কুল কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে এখানে চলে আসা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মেধাবী মানুষের অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা আর তাদের লালন ও পরিচর্যা করা। তিনি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে এ ধরনের একটি আয়োজন করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেও অভিনন্দন জানান।

(পিকেআর/এএস/মে ০৮, ২০১৫)