বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে নিজের বুদ্ধিমত্তায় পাচারকারীদের হাত থেকে এক শিশু শিক্ষার্থী রক্ষা পেলেও অন্য ৪ শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গেছে পাচারকারীরা। পাচারকারীরা নিয়ে যাওয়া ওই চার শিশুর জীবন এখন অনিশ্চতার মধ্যে রয়েছে। রবিবার দুপুরে পিরোজপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদ বিন নাসিরকে (১০) অপহরণ করে নিয়ে যাবার সময় বাগেরহাটের কচুয়ার বাধাঁল এলাকায় থেকে নিজের বুদ্ধিমত্তায় পাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসে। সাদ বিন নাসির নামের ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাটের কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসা ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদ বিন নাসির পিরোজপুর শহরের নামাজপুর এলাকার এসএম নাসির উদ্দিনের ছেলে।

হাসপাতালে ভর্তি সাদ বিন নাসির জানায়, রবিবার বেলা একটার দিকে অপরিচিত এক লোক বিদ্যালয়ে ডুকে তাকে বলে ‘তোমার আম্মা খাবার নিয়ে আসছে, তোমাকে ডাকে রাস্তায় আসো’। পরে রাস্তায় এসে মাকে না পেয়ে বিদ্যালয়ে ফিরে যেতে চাইলে পাচারকারী দল তার মুখ চেপে ধরে গাড়ীতে তুলে নেয়। পরে কিছুদূর এসে আরেকটা গাড়ী পরিবর্তন করে। এ সময় ওই গাড়ীতে আরও চারজন শিশুর মুখ বাধাঁ দেখতে পায় সাদবিন। পরে বেলা দুইটার দিকে বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাঁল এলাকার একটি কাচাঁ রাস্তায় মাইক্রোবাস থামিয়ে খাবার দিতে গেলে সাদ বিন নাসির কৌশলে জানালা দিয়ে লাফিয়ে একটি বাগানের মধ্যে দৌড়ে গিয়ে ডাক-চিৎকার দিলে এলাকাবাসি ছুটে আসে। এ সময় পাচারকারীরা মাইক্রোবাস থাকা অন্য চার শিশুকে নিয়ে সটকে পড়ে। তবে ওই ৪ শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। বাগেরহাটের কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শমসের আলী বলেন, আমরা খরব পেয়ে শিশু সাদ বিন নাসিরকে উদ্ধার করে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করি। পিরোজপুর পুলিশের কাছে শিশুটি হস্তান্তর করা হবে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, পাচারের খবর জানতে পেয়ে দ্রুত বাগেরহাটসহ আশপাশের জেলা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। ওই পাচারকারী দলের চক্রটিকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।

(একে/পি/মে ১০, ২০১৫)