নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলি মোল্লা বলেছেন, আগামী ১৭ মে শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জে আবার গণশুনানি হবে।

তিনি জানান, পাওয়ার হাউস এলাকায় এ গণশুনানির আয়োজন করা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত র‌্যাব সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়নগঞ্জ সার্কিট হাউজে গণশুনানি চলাকালে মধ্যাহ্ন বিরতির পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেষ দিনের শুনানি শুরু হয় এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ সময় গণমাধ্যমের কর্মীদের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর কারণ হিসেবে জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গণশুনানির প্রথম দিনে স্বাক্ষ্যদাতাদের নাম পরিচয় মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে তাদের বক্তব্যও সরাসরি দেখানো হয়। এতে অনেকেই বিব্রত ও আতংক বোধ করেছেন। স্বাক্ষ্যদাতাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই শেষ দিনে গণমাধ্যমের কর্মীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
সকাল দশটা থেকে মোট ৮২ জনের নাম তালিকাভুক্ত হলেও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৫৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির একটি সূত্রে জানা যায়। এদের মধ্যে অধিকাংশই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত ১২ মে গণশুনানির প্রথম দিনে মাত্র ছয়জন স্বাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে এক আইনজীবী পৌনে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে চলে যাওয়ায় সেদিন স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয় ছয়জনের।
এদিকে আগামী ১৭ মে শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউস এলাকায় গণশুনানির আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত সাত পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী। নিহতদের পরিবারের স্বজনরা বলছেন, ১৭ মে গণশুনানিকে সামনে রেখে এলাকায় মাইকিংসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্নভাবে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে লোকজনকে জানানো হবে। ইতিমধ্যেই এলাকায় হাজার হাজার মানুষ স্বাক্ষ্য দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রস্তুত রয়েছে। ১৭ তারিখ গণশুনানিতে গণমানুষের ঢল নামবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন।

(এএফপি/এএস/মে ১৫, ২০১৪)