ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরে জেলেদের পুর্নবাসনের চাল বিতরন ও জেলেদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সকালে নির্ধারিত দিনে এ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ২১৮ জন জেলের মাঝে চাল বিতরন কার্যক্রম উপজেলা চত্ত্বরে শুরু করা হয়। কিন্তু উপজেলার বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আবেদিন বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে চাল বিতরণ করতে চাওয়ার কারনে ওই ইউনিয়নের ৯২ জন জেলে সকালে চাল পায়নি। পরে বিকেলে উপজেলা চত্ত্বরেই তাদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। এতে হয়রানির শিকার হন ওই সকল জেলেরা।

একাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ২১৮ জনকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে মার্চ ও এপ্রিল মাসের ৮০ কেজি চাল বিতরণ করার নিয়ম থাকলেও বিতরণ করা হচ্ছে ৬৪-৭০ কেজি করে।

বড়ইয়া ইউনিয়নের বিষখালি নদীর একাধিক প্রকৃত জেলে অভিযোগ করে বলেন, ইউপি মেম্বররা প্রকৃত জেলেদের নাম বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে জেলে নয় এমন ব্যক্তিদের এবং স্বজনদের নাম দিয়ে তালিকা প্রনয়ন করেছে।

জেলেরা আরও অভিযোগ করেন, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদে বসে চাল বিতরণ করলে জেলেরা সঠিক ভাবে চাল পাবেন না। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সেখানে নিয়ে চাল দিতে চান। এ নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে সকালে তাদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়নি।

বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যানের জাহিদুল আবেদিন জাহিদ জানান, জেলেদের সুবিধার জন্যই ইউনিয়ন পরিষদে বসে চাল বিতরণ করতে চেয়েছিলাম, সেটা নিয়মেও আছে, অন্য কোন কারণে নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তা রাণী সরকার জানান, চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি, সঠিক ভাবেই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

(এএম/পিএস/মে ১১, ২০১৫)