শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক : তরুণ কথাসাহিত্যিক রণজিৎ সরকারের আজ জন্মদিন। তিনি ১৯৮৪ সালে ১২ মে, ২৯ শে বৈশাখ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সরাইদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নারায়ণ চন্দ্র সরকার ও মা শোভা রানী সরকারে তিন সন্তানের মধ্যে তিনি প্রথম সন্তান।

তিনি ভুুইয়াগাঁতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ থেকে ২০০৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন, হিসাববিজ্ঞানে অনার্স এবং মিরপুর বাংলা কলেজ থেকে ২০০৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
রণজিৎ সরকার ২০১২ সালে দৈনিক গণকণ্ঠ, তারপর বিডিওয়েব, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রাইজিংবিডি ডটকমে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্স ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে প্রুফ সংশোধন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স করার সুযোগে খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের সান্নিধ্য পেয়েছেন।
রণজিৎ সরকার সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ছোটকাগজ, অনলাইনে। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২০টি।
প্রথম গল্পের বই স্কুল ছুটির পর ২০১২ সালের বইমেলায় প্রকাশ হলে ব্যাপক সাড়া পায়। প্রথম বই হিসেবে যতটুকু সাফল্য পাওয়া দরকার সাফল্য পেয়েছিলেন তার চেয়ে এক’শ গুন বেশি। নবীন লেখকের বই হিসেবে মেলাতেই বইটি দ্বিতীয় মুদ্রণ হয়েছিল। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হয়েছে।
বইগুলো হলো- ভূতের ফাঁসি, স্কুল ছুটির দিনগুলি, টিফিনের সময়, স্কুলে ভূতের আড্ডা, মায়ের সাথে স্কুলে, অল্প বয়সী মাস্টার মশাই, স্কুলে প্রতিদিন, চাঁদ বুড়ির বান্ধবী অনিন্দী, শিশুতোষ মুক্তিযুদ্ধের গল্প, রোল নাম্বার জিরো জিরো ওয়ান, দুষ্টু ভূতের আস্থানায়, সংগীতার আঁকাআঁকি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ব, ক্লাসরুমে যত কাজ, স্কুলে অনুপস্থিত, শিশুতোষ একুশের গল্প, ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের অজানা গল্প, লালু বাহিনীর লাফিং ক্লাব ও প্রেমহীন ক্যাম্পাস। রণজিৎ সরকার অবিবাহিত। প্রিয় লেখকের তালিকায় আছেন অনেকেই।
তিনি জানান, তার পছন্দের রং লাল ও সাদা। ফুলের মধ্যে বেশি ভালোলাগে গোলাপ ফুল। খেতে পছন্দ করেন মায়ের হাতের যেকোনো রান্না। আর বিশেষ করে নিজের হাতে রান্না করা আলু ভর্তা দিয়ে ভাত। অবসর সময়ে লেখক বন্ধুরে সঙ্গে আড্ডা দিতেই পছন্দ করেন তিনি। তবে একা থাকতে, ভালো কিছু ভাবতে বেশি পছন্দ করেন।
জন্মদিনের বিশেষ আয়োজন সম্পর্কে রণজিৎ সরকার বলেন, পথশিশুদের সঙ্গে কিছু সময় কাটাব। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেব।
(কেএইচ/পিবি/মে ১২,২০১৫)