তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : তাড়াশের পল্লীতে গ্রাম্য ডাক্তারকে রাস্তা থেকে তুলে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সন্ত্রাসী নুরুল বাহিনী। পরে গ্রামবাসী মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেলে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার তালম ইউনিয়নের পারিল গ্রামে আলতাবের বাড়িতে।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিয়োগে ২জনকে আটক করেছে।
পুলিশ, গ্রামবাসী ও মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের পারিল গ্রামের বিশিষ্ঠ পল্লী চিকিৎসক মরহুম রফিকুল ইসলাম বুলুর বড় পুত্র ডাঃ নাজমুল হোসেন সুমন (৩৬) সোমবার রাতে বাড়ী যাওয়ার সময় একই গ্রামের মৃত ফজলার রহমানের পুত্র সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম (৩৮) ও আছাদ আলী পুত্র সুলতান (২৫) রাতের অন্ধকারে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নাজমুল ইসলাম সুমনকে স্কুল সংলগ্ন রাস্তার উপর থেকে তুলে নিয়ে নুরুল তার শ্বশুর আলতাবের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ির উঠানে তার হাত-পা ও মুখ বেধে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় নাজমুলের চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলেও সন্ত্রাসীরা তাদেরও কুপিয়ে আহত করে। রাতেই গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেলে প্রেরণ করেন। বর্তমানে নাজমুল সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। মঙ্গলবার তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নুরুল ইসলামের শ্বাশুড়ী হালিমা খাতুন (৪৬) এবং স্ত্রী রত্না খাতুন (২২) কে আটক করেছে। এব্যাপারে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(এমএইচ/পিবি/মে ১২,২০১৫)