স্টাফ রিপোর্টার : কারখানা সংস্কারের সময় শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি (অ্যালায়েন্স)।

সংগঠনটি বলছে, “আমাদের উদ্দেশ্য কারখানা বন্ধ নয়, মান উন্নয়ন করা। তবে এ বিষয়ে মালিকদের আরও এগিয়ে আসতে হবে”।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অ্যালায়েন্স আয়োজিত নিজস্ব কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রবিন, বোর্ডের উপদেষ্টা ইন স্পাউল্ডিং, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, মেজবাউদ্দীন আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম রনি, শুকুর মাহমুদ, শফিউদ্দীন আহমেদসহ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে ইন স্পাউল্ডিং বলেন, ‘আমরা পোশাক কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সবাইকে একত্র করে কাজ করতে পেরেছি। তবে কারখানার এই কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সময় লাগবে। আবার পর্যাপ্ত অর্থপ্রয়োজন। আমরা চাই না কোনো কারখানা বন্ধ হোক’।

‘আমরা কাজ করছি কারখানার মান উন্নয়ন করতে। যাতে আর কোনো শ্রমিককে কাজের প্রয়োজনে জীবন দিতে না হয়। এখন কারখানার অগ্নি, বিদ্যুৎ ও ভবন নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত সামগ্রি আমদানি করতে হচ্ছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা হচ্ছে এই সামগ্রিগুলো যাতে এদেশে উৎপাদন করা যায় সেই অবস্থানে যেতে চাই’।

সংবাদ সম্মেলনে এম রবিন বলেন, অ্যালায়েন্সের তালিকাভুক্ত ৬২৬টি কারখানার মধ্যে ৫০৮টি ইতোমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি কারখানার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে রিভিউ প্যানেলে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে একটি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। বাকিগুলোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

তবে বন্ধকারখানার শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া আগামি সপ্তাহ থেকে ৫০টি কারখানাতে পরীক্ষামূলকভাবে হেল্পলাইন কার্যক্রম চালু করবে অ্যালায়েন্স। যদি এই প্রক্রিয়া থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেলে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০০টির বেশি কারখানায় এই হেল্পলাইন চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে রবিন জানান, ইতোমধ্যে ৪ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিককে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে জানান তিনি।

(ওএস/এস/মে ১৫, ২০১৪)