নিউজ ডেস্ক : বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের ১৭তম  মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শওকত ওসমান আজীবন তার লেখনীর মাধ্যমে শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে ও শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন।

তার ‘ক্রীতদাসের হাসি’ সর্বকালেই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণের এক দিশারি। এছাড়া তার ‘জননী’ উপন্যাসটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়ে বিশ্বসাহিত্যে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

১৯৯৮ সালের আজকের দিনে এই মহতী কথাশিল্পীর জীবনাবসান হয়। বাংলা সাহিত্যের অনন্য-সব্যসাচী কথাশিল্পী শওকত ওসমান জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার পাঠপর্ব কোলকাতায়। ছাত্রাবস্থায়ই লেখালেখির শুরু। কোলকাতার পত্রপত্রিকায় ছাপা তার লেখা সাহিত্যাঙ্গনে সমাদৃত হয়।

লেখায়, কর্মে ও চিন্তা-চেতনায় তিনি ছিলেন অগ্রসরতা আর অসাম্প্রদায়িকতার ধারক-বাহক। মানসিকভাবে বিভক্তি মেনে না নিলেও ১৯৪৭-এর দেশ-বিভাগের পরে এদেশে স্থায়ী নিবাস গড়েন। তার লেখার মতো শিক্ষক হিসেবেও ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। ক্লাসে ছাত্রদের সঙ্গে আচরণ করতেন বন্ধুর মতো।

শওকত ওসমান জীবনভর লেখালেখি করেছেন প্রচুর। ‘ক্রীতদাসের হাসি’ ও ‘জননী’ ছাড়াও তার রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘রাজা উপাখ্যান’, ‘মবিন ও তার কুকুর’, ‘জুনু আপা’, ‘ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী’ উল্লেখযোগ্য।

কীর্তিমান এই নমস্য লেখক অর্জন করেছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরমেন্স পদক, মুক্তধারা পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, টেনাসিস পুরস্কার, মাহবুবুল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার অন্যতম।

(ওএস/এএস/মে ১৪, ২০১৫)