রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে ৪/৫ জনের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে। বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত রাঙ্গামাটির দুর্গম সাজেক থানাধীন শিয়ালদাহ ও চাইল্যাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৩০ জন এলাকাবাসী ডায়রিয়ার রোগে আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা ও শিয়ালদাহ এলাকার হেডম্যান জিপ্পুতাং ত্রিপুরা।

ডায়রিয়ার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতরা হলেন- ভাতরাই ত্রিপুরা (৩৫), বদরাত্রী ত্রিপুরা (৪৫), ভীরবাবু ত্রিপুরা (৫০), লক্ষী ত্রিপুরা (৩০), দির্বরা ত্রিপুরা (২৮), বিদ্যামোহন ত্রিপুরা (৮৫) ও কুসুমতি ত্রিপুরা (৫২)।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ৫ জনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তিনি আরও বলেন, ওই অঞ্চলে মেডিকেল টিম পাটানো হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে, পুলিশ সুপার সাইদ তারিকুল হাসান ৪ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমী বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই গত বুধবার সারাদিনই সাজেকের দুর্গম শিয়ালদাহ ও চাইল্যাতলী এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। এই ঘটনায় সারাদিনে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি আরো অন্তত ৩০ জন এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী শোয়েব ত্রিপুরা ও জেলী লুসাই।

শিয়ালদাহ এলাকার হেডম্যান জিপ্পুতাং ত্রিপুরা ৭ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পাতলা পায়খানার মতো মলত্যাগের মাধ্যমে রোগের উপসর্গ শুরু হওয়ার পর একদিনের মাথায় উক্ত রোগী মুমূর্ষু অবস্থা ধারণ করছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ২৫ জনের মতো আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে আমি জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি থেকে একটি মেডিকেল টিমও রওয়ানা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মৌসুমী বৃষ্টি হওয়ার পরপরই ওই এলাকাটিতে প্রচণ্ড গরম পড়তে থাকে। ফলে এলাকায় বসবাসরতরা ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে।
(ওএস/পিবি/মে ১৪,২০১৫)