ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে ভিজিডি চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও মাপে জনপ্রতি ১০/১১ কেজি কম দেয়া ও প্রতিবাদকারিদের সাথে র্দুব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সচিবের নেতৃত্বে কার্ডপ্রাপ্ত ১৪০টি পরিবার বরাদ্দ অনুযায়ী দু’মাসের ৫১.৪০ গ্রাম চাউল বদলে প্রত্যেক পরিবারকে তার ইচ্ছে মাফিক প্লাষ্টিকের একটি ডিশ দিয়ে চাউল কম দিতে দেখা গেছে।

এসময় হতদরিদ্র নারী-পুরুষেরা সাংবাদিক দেখে ছুটে আসে ও বরাদ্দকৃত চাউল কম দেয়ার অভিযোগ জানিয়ে সমস্বরে প্রতিবাদ করতে থাকে। এব্যাপারে জানতে ইউনিয়ন ইউপি সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে ভিজিডির এ চাউল বিতরণে চেয়ারম্যান ও সচিবের কথাই চুড়ান্ত বলে জানান। ইউপি সদস্যদের এ ব্যাপারে কিছু করা বা বলার অধিকার নেই বলে তারা দাবি করেন।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নবগ্রামের নমিতা মন্ডলের বস্তাটি লোকজনের সামনে ইউপি ভবন সংলগ্ন দোকানের একটি ডিজিটাল পরিমাপ যন্ত্রে তুললে ৪১.৭০ কেজি চাউল পাওয়া যায়। অপর চাউলপ্রাপ্ত শতাদশকাঠি গ্রামের সুধাংশ শীল জানায়, তার বস্তা মেপে ৪০.২০ কেজি চাউল পেয়েছে। এভাবে উপস্থিত আরো কয়েকজন কেউ ৪০ ও কেউ ৩৯ কেজি চাউল পেয়েছে অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যানের কাছে বলেন না কেনো জানতে চাইলে বলেন, সবাইতো চেয়ারম্যানের লোক তাই আমরা বললে উল্টো আমরা বিপদে পরব বা নামটা কাটা যাবে।
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দেখা যায়, একটি কক্ষে কয়েকজন লেবার প্লাষ্টিকের একটি ডিশ দিয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে চাউল মেপে দিচ্ছে। সেখানে দাড়ানো ইউপি সচিব মিঠুন সিকদার তপনের কাছে মাপে কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, মাল পরিবহন ও বিতরনকারী শ্রমিকদের টাকা-পয়সা দিতে হয়। তাছাড়া তালিকার বাইরেও কিছু দরিদ্র লোককে চাউল দিতে হয়। তাই হয়তো মাপে সামান্য কিছু কম হতে পারে।
এ ব্যাপারে নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক আখন্দ জানান, তার মায়ের অসুস্থতার কারনে তার চিকিৎসার করাতে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তাই সে বিষয়টি তদারকী করতে পারেননি। তবে কার্ডপ্রতি এক-দেড় কেজি কম হতে পারে। কিন্তু এতো কম দেয়াটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়ে ভবিষ্যতে এধরনের অনিয়ম হবেনা বলে আশ্বস্ত করেন।
(এএম/পিবি/মে ১৪,২০১৫)