যশোর প্রতিনিধি : যশোর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছে যশোরের সহকারী জজ আদালত। বৃহস্পতিবার চেম্বারের সদস্য মা ফিস হ্যাচারির স্বত্তাধিকারী আলহাজ্ব মোস্তফা খান ফিরোজ নির্বাচন স্থগীতের আদেশ চেয়ে অদালতে অবেদন করলে শুনানি শেষে যশোরের সহকারি জজ আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে বিচারক আদেশে কেন অস্থায়ী নিষেধাঞ্জা দেয়া হবেনা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে বিবাদীদের।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মা ফাতেমা ফিস হ্যাচারির স্বত্তাধিকারী মোস্তফা খান ফিরোজ যশোর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির নিয়মিত সদস্য। নির্বাচন উপলক্ষে কোন প্রকার প্রচারনা ছাড়ায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে নির্বাচন বোর্ডের কাছে ভোটার তালিকা সরবরাহ করেন প্রশাসক। খসড়া ভোটার তালিকায় মোস্তফা খান ফিরোজ খান নাম না থাকায় তিনি ভোটার তালিক সংশোধোনের জন্য আবেদন করেন। ফিরোজ খান এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সর্বশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের আবেদন বুধবার খারিজ হয়ে যায়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৬ মে নির্বাচন অনুষ্টিত হলে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি ৫ জনকে বিবাদী করে এ মামলা করেন। বিবাদীরা হলেন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি, প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, নির্বাচন বোর্ডের আহবায়ক সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, নির্বাচন বোর্ডের সদস্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম ও সাইফুল ইসলাম।

মামরার শুনানি শেষে বিচারক অস্থায়ী বিষেধাজ্ঞা দরখাস্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ১৬ মের নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার জন্য বিবাদীরগণ কে নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে বিচানক ৪ বিবাদীকে কেন নির্বাচন বন্দে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবেনা আগামি ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে ।
যশোর চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ৭১টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হলেও ২৯ এপ্রিল প্রত্যাহার করে নেন ৪৬ জন প্রার্থী।
বাদী মোস্তফা খান ফিরোজ জানান, আমি আমার ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য মামলা করেছি। কিন্তু মামলা করে এখন আমার জীবন হুমকির মুখে। ফোনে আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। কারা দিয়েছে তা তিনি জানাননি।

এ ব্যাপারে চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি আদালতের আদেশের কপি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

(জেকেএম/পি/মে ১৪, ২০১৫)