নওগাঁ প্রতিনিধি :কেটে নিশ্চিহ্ন হরা হলো মরহুম জননেতা আব্দুল জলিলের স্মৃতি বিজড়িত নওজোয়ান মাঠের পাকুড় গাছটি। শুক্রবার সকাল থেকে নওজোয়না মাঠে ওই গাছটির আর কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তবে আশ্চর্য জনক বিষয় হলো, গাছটি নওগাঁ নওজোয়ন সমিতি কাটেনি। তাই গাছটি কাটার জন্য কোন প্রকার টেন্ডারও আহবান করা হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, গাছটি কেটেছেন এলাকার খাঁ পরিবারের একজন বাঁশ ব্যবসায়ী। ওই গাছটি নাকি খা পরিবারের। ওই বাঁশ ব্যবসায়ীর মাঠে বাঁশ রাখার স্থান সংকুলানে বাঁধার সৃষ্টি করছিল। তাই তিনি পৈত্রিক সম্পত্তির ওপরের ওই পাকুর গাছটি কেটে নিঃচিহ্ন করে ফেলেছেন।

এদিকে রাজনীতি সচেতনরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে নওগাঁর মরহুম জননেতো আব্দুল জলিল জীবিত অবস্থায় ওই পাকুড় গাছটিকে দক্ষিনে রেখে কিছুটা উত্তরে প্রতি ঈদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। প্রতিবারই তিনি ওই নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ আদায় করায় তার মৃত্যুর পর অনেকেই গাছটিকে মরহুম জননেতা আব্দুল জলিল স্মৃতি পাকুড় গাছ বলতে শুরু করেছিলেন। তাই এ সকল রাজনীতি সচেতন মানুষ মনে করছেন ভিন্ন ধারার রাজনীতি সম্পৃক্ত খাঁ পরিবারের ওই বাঁশ ব্যবসায়ী গাছটি নির্মুল করে ফেললেন।

নওজোয়ান মাঠ কেন্দ্রিক ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের একাধিক ব্যক্তি জানান, খাঁ পরিবারের দু’চার সদস্য নওজোয়ান মাঠকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে বিভিন্ন সময়ে দাবী করে থাকেন। এ কারণে তারা এই মাঠটিকে নিজেদের ইচ্ছা মতো ব্যবহার করা থেকে শুরু করে কখনো কখনো ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ভাড়াও আদায় করে থাকেন।

এদিকে নওজোয়ান মাঠে নওগাঁর প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই জামাত পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচিত কমিটি বর্তমান। মাঠটির উন্নয়ন ও সোন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রতিবছরই সরকারি অনুদানসহ পৌর অনুদান এমনকি ব্যক্তি অনুদান আসে লাখ লাখ টাকার।

পুরনোজনদের মতে, এটি এক সময় পশ্চিম প্রান্তে নওজোয়ান সমিতি কিছু অংশ বাদে পূর্ব প্রান্তে কেডি স্কুলের মুসলিম ছাত্র হোষ্টেলের খেলার মাঠ ছিল। কালের বিবর্তনে নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মুসলিম হোষ্টেলটি বন্ধ হয়ে যাবারও বহু আগে থেকেই এই মাঠটি নওগাঁর প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবার জন্য ব্যবহারের পাশাপাশি এক সময় জনসভার জন্য খ্যাতিমান ছিল। এই পাকুড় গাছটি রাতারাতি কেটে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে নওজোয়ান সমিতি, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে এলাকার সচেতনমহল দাবী করেছেন।

(বিএম/এসসি/মে১৫,২০১৫)