মাগুরা প্রতিনিধি : শুধুমাত্র লিঙ্গ বিকলতার জন্য পরিবার ও সমাজে হিজড়াদের কোন স্থান হয় না।  বুদ্ধিবৃত্তি ও কর্মদক্ষতা থাকা সত্বেও হিজড়ারা কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত।  অবহেলিত হিজড়াদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন। কেননা তারা এ সমাজেরই মানুষ। শনিবার মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হিজড়াদের অধিকার নিয়ে আয়োজতি সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান খুলনার বে-সরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা লোসাউক-এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান। এ সময় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লোসাউকের পরিচালক পারভীন আক্তার রাজা, বে-সরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আর আর ডির নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক শামীম খান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়-দেশে প্রায় ১০ হাজারের মত হিজড়া রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলায় ৬২৭ জনসহ মাগুরা জেলায় ৩৪ জন হিজড়া রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া সত্বেও তারা কোন মৌলিক বা মানবিক অধিকার পায় না। তাদের নিরাপত্তা দেয়া হয় না। তারা মারা গেলে ধর্ম সম্মত কোন অন্ত্যষ্টি ক্রিয়া হয় না। এমনকি পরিবারেও তাদের কোন স্থান হয় না। এছাড়া পথে ঘাটে চলতে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়।
তবে আশার কথা হচ্ছে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভার বৈঠকে বিশেষ লিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নারী-পুরুষের পাশাপাশি ‘হিজড়া’ লিঙ্গ হিসেবে লেখা যাবে। এ ছাড়া সমাজ সেবা অধিদপ্তর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সামাজের মূল স্রোত ধারায় ফিরিয়ে আনাসহ বয়স্ক ভাতা প্রদান করা কর্মসূচি নিয়েছে। এ লক্ষে ইতিমধ্যে সরকার ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে ২১ জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। আগামীতে মাগুরাসহ অন্যান্য জেলাগুলোতেও এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডঃ নাজমুল আহসান হিজড়াদের মৌলিক অধিকার নিশিচতকরণসহ তাদের সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
(ডিসি/পিবি/মে ১৬,২০১৫)