বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখার অপহৃতা স্কুল ছাত্রী (১৪) কে ১২ দিন পর সিলেটের গোলাপগঞ্জের কাদীপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত অপহরনকারী জিয়াউর রহমান (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমান বড়লেখা উপজেলার হাল্লা গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র। রবিবার অপহৃতা স্কুল ছাত্রী বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে অপহরণ পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১৪) গত ৫ মে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল সংঘবদ্ধ অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১১ মে অপহৃতার মা বাদী হয়ে উপজেলার হাল্লা গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র জিয়াউর রহমান (২৫) কে প্রধান আসামী করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১০জনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার ১২দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে বড়লেখা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় গোলাপগঞ্জের কাদীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃতাকে থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারী জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট গাজী দেলোয়ার হোসেনের আদালতে অপহৃতা স্কুল ছাত্রী অপহরণ পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, বর্তমানে অপহৃতা স্কুল ছাত্রীটি মা জিম্মায় রয়েছে। আদালতের আদেশ পেলে অপহৃতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপহৃতা স্কুল ছাত্রী আদালতে অপহরণ পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। অপহরণকারী জিয়াউর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(এলএস/এএস/মে ১৭, ২০১৫)