স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ফাইভজি সেবাটি চালু করা সম্ভব। আবার অনেকে এই সময়ের আগেই সেবাটি চালু হবে বলে আশা করছেন।

আর তাই ২০২০ সাল ও তার পরের সময়ের জন্য ফাইভজি নেটওয়ার্কের মানদণ্ড কী হবে, সে বিষয়ে একটি বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছে আইটিইউ। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ফাইভজির মানদণ্ড নির্ধারণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট মানে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গও নির্ধারণ করা হচ্ছে।

থ্রিজি বা ফোরজি নেটওয়ার্ক নির্দিষ্ট সীমা অর্থ্যাৎ টেলিযোগাযোগ খাতেই এ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ আছে। কিন্তু ফাইভজি নেটওয়ার্ক ভয়েজ ও ভিডিওর পাশাপাশি স্বাস্থ্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, চালকবিহীন গাড়ি ও রোবটিক সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের মতো কাজে ব্যবহৃত হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এ কারণে থ্রিজি বা ফোরজির পাশাপাশি ফাইভজি নিয়ে আলোচনা গুরুত্ব পাচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু এসব খাতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা কী প্রভাব রাখবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

২০১২ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনস (আইএমটি) ফর ২০২০’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করে আইটিইউ। আর এ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট খাত নিয়ে গবেষণার সুযোগ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।

আইটিইউর মহাসচিব হুলিন ঝাও বলেন, ‘এয়ার ইন্টারফেস ও রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্কের উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুত। এতে খাতগুলোর ওপর গুরুত্ব বাড়ছে। পাশাপাশি আইএমটি-২০২০ কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে। আগামীতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা কেমন হবে, তা নির্ধারণে এ গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ইতিমধ্যে পুরোদমে চালু হয়েছে টুজি, থ্রিজি আবার দু’এক জায়গায় ফোরজিও। তবে ফোরজি নেটওয়ার্ক পুরোদমে চালু না হলেও ফাইভজি সেবাটির গতি বা এর মূল বৈশিষ্ট্য কেমন হবে তা নির্ধারণের জন্য এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি উন্নয়নে গবেষণা শুরু করেছে আইটিইউ। খবর সেলুলার নিউজ।

(ওএস/পিবি/মে ১৮,২০১৫)