নিউজ ডেস্ক : আজ ১৬ মে। সেই আতঙ্কের ১৬ মে। গত বছর এই দিনে বরগুনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলাকে লণ্ড ভণ্ড করে দেয় এক ঘূর্ণিঝড়। যার নাম মহাসেন। মহাসেনের ৪ দিন আগে থেকে সতর্কতা সংকেত দেয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পেরেছিল ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীরা। তবে উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস সঠিকভাবে পৌঁছে না বলে দাবি এলাকার মানুষের।

২০১৩ সালের এই দিনে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন লণ্ড ভণ্ড করে দেয় উপকূলীয় জেলা বরগুনা। মহাসেনের তাণ্ডব কেড়ে নেয় বরগুনার ৭ জনের প্রাণ। আর ৬১ হাজার ৮১২ কোটি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক ও ৬ হাজার ৮৫৬টি কাঁচা ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়।
ঝড়ের ৪দিন আগে থেকে প্রচার করায় প্রাণহানির সংখ্যা কমলেও বিধ্বস্ত হয় কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। মহাসেন বন্যার পূর্বাভাস বার্তা ব্যাপক সময় ধরে চলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পেরেছিল।
তবে এখনো বরগুলার তালতলীর জয়ালভাঙ্গা, তেঁতুলবাড়িসহ কিছু দুর্গম এলাকার মানুষের অভিযোগ, হঠাৎ কোনো ঝড়ের পূর্বাভাস দুর্গম এলাকায় পৌঁছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ জানান না, মহাসেন আসছে তারা যেন আশ্রয় কেন্দ্রে যায়। তাদেরকে জানান না কেউ, জানালে তারা সরে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারেন। যারা এর প্রচারণার কাজে রয়েছে তারাও ভালো করে জানান না বলেও জানান এলাকাবাসী।
বরগুনা জেলার ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুর্যোগের খবর কিন্তু এখন মোবাইল ফোনে রিলে করা হচ্ছে। যে কারণে যে যতো দুর্গম এলাকায়ই থাক না কেন, তার কাছে খবরটা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা আমরা মনে হয় অনেকটা এগিয়ে আছি।

(ওএস/এএস/মে ১৬, ২০১৪)