সৈয়দ তারিকের একগুচ্ছ কবিতা
ক.
কপালে নিবিড় টোকা দিয়ে গেছে ভুলো-না-আমায়,
খুলে দেখি চোখ
হাসি চেপে চেয়ে দ্যাখে আমাকে সবাই অপলক।
যদি ভুল করে ফেলি তাহলে সবাই খিলখিল
খুশি হবে খেলার নিয়মে :
একটি টোকার দাম যাবে কি তখন কিছু কমে?
খ.
খাবনামা পাঠ করে জেনে গেছি বৃত্তান্তসকল :
কেন ভেজেছিলে শোলমাছ,
কেন-বা ছাগল এসে চিবিয়ে খেয়েছে চারাগাছ।
তবে এর বিবরণ দিতে গিয়ে হাসি চেপে দেখি,
অতিশয় ব্যস্ততার ছলে
ফিতা এঁটে সরিয়ে রাখছো তুমি মোটাসোটা থলে।
গ.
সোভিয়েত যুগ আজ ক্লাসঘরে শুষ্ক ইতিহাস,
কিংবদন্তি চে গুয়েভারা,
কে আর দেখতে যায় চিনের আকাশে লাল তারা!
সিআইয়ের দফতরে কোনো তালা ঝোলে নি তা বলে,
কর্মব্যস্ত ঠিকই পেন্টাগন,
উপরন্তু সুদর্শন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
ঘ.
খোয়াজ খিজির, তুমি সবুজ ঝোলায় ভরে নীল কাকাতুয়া
পালিয়ে বেড়াচ্ছ কাছে দূরে
কানামাছি খেলা শেষ হবে না কি কোনো দিন প্রচ- দুপুরে?
ঠোঁটের পিপাসা যদি বিজুরির এইসব হাসি ঠাট্টায়
কেবলই চমকে যেতে থাকে
পলকের লোভ আর কতদূর টেনে নিতে পারবে আমাকে?
ঙ.
আমার কলম নিয়ে শয়তান পদাবলি লেখে
দেখে বেশ আনন্দ পেলাম,
'কিন্তু বাছা', বলি তাকে, 'মনে করে চুকিয়ো কালির পুরো দাম।'
এ-কথা শুনে সে হো হো হেসে উঠে টেপে এক চোখ,
তা পর শূন্যে মিলে যায় :
আমার স্বাক্ষর দেখি কাগজের পাতায় পাতায়