গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : পরকীয়ার জের ধরে জুঁই বেগম (২৩) নামে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী ও ননদ।

শুক্রবার সকালে নিহত ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ৪ বছর আগে আবু শেখের ছেলে মিরাজ শেখের সাথে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার আক্তার বিশ্বাসের মেয়ে জুঁইর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর স্বামী মিরাজ সৌদি আরব চলে যায়। গত জানুয়ারী মাসে দেশে ফিরে আসে।

এর পর থেকে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে সাংসারিক কলহ নিয়ে জুইয়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এসকল বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী মিরাজ ও ননদ ডালিম বেদম মারধোর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জুঁইকে। এরপর রাতে সদর হাসপাতারে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে বাড়ী নিয়ে গিয়ে আত্মহত্যার সাজানো নাটক সৃষ্টি করে।

পুলিশ খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এর ঘটনার পর থেকে শ্বাশুড়বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।

নিহত জুঁই এর পিতা আক্তার বিশ্বাস জানান, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কহল নিয়ে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। স্বামী মিরাজ বিদেশ থেকে আসার পর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরকিয়ার জের ধরে স্বামী ও ননদ মিলে জুইকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে।

গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ি (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

(এমএইচএম/জেএ/মে ১৬, ২০১৪)