গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রেজাউল হক সিকদার (রাজু) ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
নিয়েছেন। তার উদ্যোগে প্রতিদিন এক লক্ষ পৌরবাসীকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে গাড়ী করে পৌর এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

মাইকিং করে পৌরবাসীকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে আহবান জানানো হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০ হাজার লিটার করে বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌরবাসীর মধ্যে সরবরাহ করা হবে জানান পৌর মেয়র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০/১৫ বছর যাবত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত লবণাক্তার কারণে পৌরসভা থেকে সরবরাহকৃত পানি পান করা যায় না। এ লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে অনেকে পেটে পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা মধুমতি নদী থেকে পানি এনে পরিশোধন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করে। দীর্ঘ বছর ধরে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত মধুমতি পানিতে লবণাক্তা থাকে। লবণ পরিশোধের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এতোদিন যাবত পৌরবাসীকে এ লবণাক্ত পানিই সরবরাহ করা হতো। এবছর গোপালগঞ্জে তেমন কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানিতে লবণাক্তার পরিমান বেড়ে যায়। টিউবওয়েলের পানি সংগ্রহের জন্য দূর-দূরান্তে ছুটাছুটি শুরু করে। টিউবওয়েলের আর্সেনিকযুক্ত ও পৌরসভা লবণাক্ত পানি পান করে মানুষ পেটে-পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। পৌরবাসীকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করার জন্য পৌর মেয়র উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর অংশ হিসেবে জেলার কোটালীপাড়া পৌরসভা থেকে গাড়িতে করে বিশুদ্ধ পানি এনে তা পৌরবাসীর মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। পৌর মেয়র রেজাউল হক সিকদার (রাজু) জানান, পৌরবাসী লবণাক্ত পানি ব্যবহার করতে না পারায় নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হন। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক কষ্ট করে তারা খাবার পানি সংগ্রহ করতেন। তাদের বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য দুর্বিষহ কষ্ট দেখে আমি পানি সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যতোদিন পৌরসভার পানিতে লবণ থাকবে ততোদিন পৌরবাসীকে বিশুদ্ধ খাবার পানি দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
(এমএইচএম/এএস/মে ১৬, ২০১৪)