আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল): বরগুনা থেকে বরিশালগামী বিআরটিসি যাত্রীবাহি বাস ব্রেক ফলে করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে৫০ যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদরে মধ্যে ৪৪ জনকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ৪ শিশু ও ১০ নারী যাত্রী রয়েছেন। বৃহস্পতবিার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদরে মধ্যে কয়কে জনের অবস্থা গুরুতর।

বরগুনার ১নং বদরখালি ইউনিয়নের শামীম হাওলাদার নামে আহত যাত্রী জানান, বিআরটিসি (ঢাকা মেট্রো ব-১১-১৬৩৯) নামক বাসটি বরগুনা থেেক ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল আসছিল। পথিমধ্যে বাকেরগঞ্জ এলাকায় বাসটি বিকল হয়। এরপর চালক ও হেলাপর যন্ত্রাংশরে কাজ করে পুনরায় রওয়ানা হয়। তবে গাড়ি চলছলি ধীর গতিত। দপদপিয়ার জিরো পয়েন্টেআসা মাত্র যাত্রীরা তাদের অন্যবাসে উঠিয়ে দিতে চালকে অনুরোধ করে। যাত্রীদের দাবী উপক্ষো করে চালক গাড়ি চালতে থাকনে। ছোট ব্রীজ পাড় হওয়ার পর দপদপিয়ার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর মাঝ বরাবর পৌছলে ব্রেক ফেল করে বাসটি। এসময় চালক গাড়ির র্ষ্টাট বন্ধ করে দিয়ে ব্রেক ফেল করেছে জানিয়ে যাত্রীদরে সাবধান হতে বলে। এসময় চলন্ত গাড়ি সোনারগাঁ টেক্সটাইল মিলের দেয়ালে গিয়ে ঠেকে। ওই গাড়িতে থাকা সকল যাত্রিই আহত হয়েছে বলে জানান শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রী বরগুনা জেলার সদর উপজেলার পদ্মা গ্রামের নূরুল হক (৪৫)।

শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের তর্কব্যরত চিকিৎসক মো. ওদুদ মোল্লা জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৪ শিশু, ১০ নারীসহ ৪৪ জন র্ভতি হয়েছেন। বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর হলেও এখন র্পযন্ত মারা যাওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

ঘটনার পর নগর পুলিশের কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী পুিলশের ভাড়ি যান নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি উদ্ধারের কাজ করছিলেন । তিনি বলেন, যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে ডোবা এবং সামনে দেয়াল না থাকলে অনেক যাত্রি মারা যেত। তিনি আরও বলেন, বিআরটিসি গাড়ি হওয়ায় চালক ও হেলপার পলাতক থাকলেও তাদের খুঁজে বের করা যাবে। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(টিবি/এসসি/মে২২,২০১৫)