বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের প্রবীণ এক ছাত্র তার সকল শিক্ষাগুরুদের সম্মাননা প্রদান করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের সন্নাসী বাজারের বাসিন্দা মোস্তফা জামান খাঁন (৫৯) এই মহতি কাজটি করেছেন।

পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী কে.এম. লতিফ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ ব্যক্তি তার শিক্ষা জীবনের যারা এখনও জীবিত আছেন সে সকল শিক্ষকমণ্ডলীকে শুক্রবার তার নিজ বাড়িতে একত্রিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যতিক্রমধর্মী সম্মাননা প্রদান করেন।

শিক্ষাগুরুকে যেন সকলে মূল্যায়ন করেন- সে লক্ষ্যেই তার এ প্রয়াস জানিয়ে তিনি বলেন, তার উদ্যোগ সফলতা পাবে। কেননা, এ রকম আয়োজনের কথা শুনে তার ভাগ্নে ফোসান গ্রুপের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন শাহীন ও তার ছোট ভাই ওই গ্রুপের ডিএমডি খায়রুজ্জামান হেলাল তার পথ অনুসরণ করেছেন।

একই দিন একই স্থানে তাদের শিক্ষাগুরুদের হাজির করে একইভাবে তারা সম্মাননা প্রদান করেন। সম্মাননা প্রদান উপলক্ষ্যে তার বাড়ির আঙ্গিনায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জিয়াউদ্দিন শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্থপতি নাজিম উদ্দিন পায়েল, এ.আর. খাঁন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আঃ হাই খাঁন, উদ্যোক্তা মোস্তফা জামান খাঁন, প্রধান শিক্ষক (অবঃ) আঃ আজিজ মোল্লা, আঃ হামিদ তালুকদার, প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাংবাদিক মশিউর রহমান মাসুম, খায়রুজ্জামান হেলাল প্রমুখ।

পরে সকল শিক্ষককে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। মোস্তফা জামানের পচাঁত্তরোর্ধ শিক্ষক কাজী ইসমাইল হোসেন জানান, শিক্ষকতা জীবন ও জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এভাবে কোন ছাত্র তাকে স্মরণ করেনি। আজকে তিনি যেটুকু পেলেন, তা শিক্ষকতা জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা বলে তিনি উল্লেখ করেন। এভাবে শিক্ষক সমাজ সম্মান পেলে তারা ছাত্রদের সব কিছু উজার করে দেবে। সমাজে একটা বিরাট পরিবর্তন আসতে বাধ্য।

একই অভিব্যাক্তি ব্যক্ত করলেন অপর শিক্ষক যথাক্রমে রব হাওলাদার, নাজেম উদ্দীন শিকদার, ফজলুল হক তালুকদার, হাফেজ ইমদাদুল হক ও মাওলানা ইউসুব আলী প্রমুখ।

(একে/পিএস/মে ২২, ২০১৫)