নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ একরামুল আলম এবং নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোেকেট শাখাওয়াত হোসেনকে সাময়ীক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ফৌজদারী মামলা থাকায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত আদেশে এই দুই বিএনপি নেতাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সোমবার নাটোর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো বরখাস্তের আদেশপত্র বড়াইগ্রাম ও নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হাতে পেয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার বিভাগ সুত্র জানায়, বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়াম্যান অধ্যক্ষ একরামুল আলমের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডা.আয়নুল হক হত্যাসহ ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহিত হয়। এর ফলে জনস্বার্থে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একরামুল আলমকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন এসংক্রান্ত পত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, একাধিক ফৌজদারী মামলার কারনে চেয়ারম্যান একরামুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ একরামুল আলম বরখাস্তের আদেশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান,তিনি এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।

অন্যদিকে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নামে ২০১২ সালের একটি ফৌজদারী মামলা রুজু হয়। ফলে ওই মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন থাকায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সামিয়কভাবে বরখাস্ত করে।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জাহান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্ত আদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের একটি পত্র তিনি পেয়েছেন। নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বরখাস্তের আদেশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।

জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একরামুল আলম ও নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফৌজদারী মামলার কারনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

(এমআর/এএস/মে ২৫, ২০১৫)