বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় দুই নেতার অবৈধ প্রভাব ও হুমকি ধামকীর কারণে বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে দীর্ঘ দিন প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদে নিয়োগ নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিঘ্নিত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষার্থীদের পাঠ দানে।

স্কুল কমিটির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা রেজুলেশন সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২২ মে বরিশাল সদর গার্লস হাই স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের আহ্বান করা হয়। পরীক্ষার সময় নিয়োগ বা স্কুল কমিটির কেউ না হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শহীদ আ. রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আ. রশিদ সিকদারকে সাথে নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময় পরীক্ষার হলে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেন তারা। পরীক্ষার হলেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে হেমায়েত উদ্দিন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেকে স্থানীয় সর্বোচ্চ জন প্রতিনিধির প্রতিনিধি, আ’লীগ নেতা, অধ্যক্ষ জাহির করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ওই স্কুলের সহকারী ইংরেজী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দিতে হবে জানিয়ে উপস্থিত নিয়োগ কমিটির সদস্যদের হুমকী ধামকি দেয়। স্কুল সভাপতি বিএম মনিরুল ইসলাম মন্নান জানান, প্রার্থী মিজানুর রহমান কর্তৃক ওই দুই নেতার আকস্মিক হুমকী ধামকিতে কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে পড়েন সংশ্লিষ্ঠ কমিটির সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্কুল কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ অস্বীকার করে আ’লীগ নেতা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন সরদার বলেন, মিজান আমার বাড়ির পাশের লোক, তাই আমি তার হয়ে উপস্থিত থেকে নিয়োগ কমিটির সাথে কথা বলেছি। ফলে দীর্ঘ দিন প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদে নিয়োগ নিয়ে আবারও ওই স্কুলে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিঘ্নিত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষার্থীদের পাঠ দানে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
(টিবি/পিবি/মে ২৬,২০১৫)