দুর্গাপুর(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরের পৌর শহরকে সোমেশ্বরী নদীর কবল থেকে পৌর শহর রক্ষা বাঁধের পাশে কোন রকম নিয়মনীতি না মেনে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালি ও পাথর উত্তোলন করছে একদল ব্যবসায়ী। বালি উত্তোলনের নির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকলেও তা মানছেনা উত্তোলনকারীরা।

দুর্গাপুর পৌর শহররক্ষা বাঁধ তেরীবাজার (পূণ্যাহবাড়ী ঘাট)এর উত্তরাংশে পশ্চিম সাধুপাড়া এলাকা পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের ডাম্পিং ব্লক আনুমানিক ৫০ভাগ ধ্বসে পড়েছে এবং তারই পাশেই বসানো হয়েছে ড্রেজার। এসব ড্রেজার ব্যবহার করার ফলে ইতিমধ্যেই ব্লক বাঁধের নিকটে আনুমানিক ৩০থেকে ৪০ফুট গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে পৌর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকীর সন্মুখীন হয়ে পড়েছে। ডাম্পিং ব্লকের জায়গা থেকেই অবাধে রাত দিন উত্তোলন করা হচ্ছে বালি ও পাথর। এতে করে ব্লকের পাশেই অসংখ্য বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে সরে যাচ্ছে বালি, খসে পড়ছে ব্লক, হুমকীর মুখে রয়েছে শহররক্ষা বাঁধ। এ বছর পাহাড়ী ঢলে যদি বাঁধটি ভেঙ্গে যায় তাহলে উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুটি কলেজসহ সাত আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

বাঁধের পাড়ের বাসিন্দা ডাঃ প্রভাত চন্দ্র সাহা, মোঃ তোতা মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি মোহন মিয়া বলছেন,অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধটি আজ হুমকীর মুখে পড়েছে। আমরা কিছু বললেও কেউ শুনছেনা তারা তাদের কাজ করেই যাচ্ছেন। প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে প্রশাসন কোথায় ? পৌর মেয়র শম জয়নাল আবেদীন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করায় পৌর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকীর মুখে এবং পৌর শহরের ভিতর দিয়ে অতিরিক্ত বালু বোঝাই ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করায় শহরের নবনির্মিত রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং যানজটের কারণে জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সহিত কথা বলেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,ইতিমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সহিত কথা হয়েছে অচিরেই উক্ত বাঁধটির মেরামতের কাজ শুরু হবে।
(এনএস/পিবি/মে ২৬,২০১৫)