কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : খুলনা থেকে কুয়াকাটায় ক্যাপসুল ক্যাম্প এর প্রশিক্ষণে এসে বন্ধুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিএনসিসি’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাইদুর রহমান সাহাদ (১৮)।

মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের দাবি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সে মারা গেছে।

খুলনা বিএনসিসি’র প্রশিক্ষক ও নৌবাহিনীর পেটি অফিসার আবুল বাসার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ২৫/৩০ জন বন্ধুর সাথে সাহাদ গোসল করতে পুকুরে নামে। কিন্তু পুকুরে ডুব দেয়ার ৭/৮ মিনিট পর সে না ওঠায় সহপাঠীরা ডুবন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাহাদ মারা গেছে।

তিনি জানান, নিহত সাহাদ খুবই ষ্ট্রং ছিলো এবং সে ভালো সাতারু। ডুব দিয়ে ২/৩ মিনিট সে থাকতে পারতো। নিহত সাহাদ খুলনার বটিয়াঘাটার উপজেলার কৈয়াঘাট এলাকার খোলা গ্রামের মো. আসাদুজ্জামান আর্শ্বাদ এর একমাত্র ছেলে। সাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ক্যাপসুল ক্যাপ’র প্রধান সমন্বয়ক নৌ-বাহিনীর লে. রাসেল জানান, খুলনা বিএনসিসি সহ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১২ জন ক্যাডেট এ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেয়। গত ২৪ তারিখ থেকে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লতাচাপলী সরকারি পপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আগামী ২৯ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলার কথা।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ এসআই সঞ্জয় মন্ডল জানান, তারা সাহাদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই হাসপাতালে ছুটে গেছেন এবং সুরতহাল সম্পন্ন করেছেন। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব না।

এ ব্যাপারে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামান জানান, তাদের ধারনা সাহাদ কোন রোগে আক্রান্ত ছিলো। এ কারণে পুকুরে নেমে ডুব দেয়ার সাথে সাথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।

এছাড়া একইদিন কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নীলগঞ্জ গ্রামের খলিল বয়াতীর মেয়ে পুকুরে মানসুরা (২) পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী শিশুদের সাথে খেলার সময় সবার অগোচরে সে পুকুরে পড়ে যায়। দুপুরে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

(এমকেআর/এএস/মে ২৬, ২০১৫)