নাটোর প্রতিনিধি : অভ্যন্তরীণ কোন্দেলের জেরে নাটোরে যুবলীগ কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রাসু হত্যার মামলার পলাতক আসামী গোবিন্দ দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ এর বিচারক এনামুল হক বসুনিয়া।

গোবিন্দ দাস মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলায় জামিনের আবেদন করে। সে রাসু হত্যা মামলার পলাতক আসামী হওয়ায় তাকে পুন:গ্রেফতারের জন্য আবেদন জানালে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন এবং আসামীর কোন জামিনের আবেদন না থাকায় গোবিন্দকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। গোবিন্দ দাসের বাড়ি শহরের শুকুলপট্টি এলাকায়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একদল যুবক আবু বক্কর ছিদ্দিক রাসুকে শহরের কানাইখালী মহল্লার সাহারা প্লাজা এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পেয়ে নিহতের পিতা আব্দুর রউফ ননী সন্ধ্যায় নাটোর থানায় রতন, আফজাল, গোবিন্দ, মিলন, রনি, নেপাল, রুবেল, ডালরনি, সাব্বির ও সোহেলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ অপহরণ মামলাটি রের্কড করার সাড়ে তিন ঘন্টার মাথায় রাসুকে শহরের কানাইখালীর জেলে পাড়ায় পুরাতন রানীভবানী কলেজের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত রাসুকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে রাসুর মৃত্যুর পর নাটোর সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল-মামুন অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলা হিসাবে রেকর্ড করে মামলার তদন্তভার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিবজুর আলম মুন্সীর ওপর ন্যস্ত করেন।

পুলিশ এই হত্যার ঘটনা জড়িত ১০ জনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে শহরের কানাইখালী এলাকায় রানা নামে অপর এক আসামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড গুলিসহ রাসু হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে।

অপরদিকে ঘটনার ৪ বছরেও মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নিহতের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

(এমআর/পিএস/মে ২৬, ২০১৫)