লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : দৈনিক মানবজমিন, রেডিও টুডে ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আব্বাছ হোসেনের বাড়িতে হামলা ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক আব্বাস হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় সেলিমকে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামী করে এ মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার যাদৈয়া গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় সন্ত্রাসী সেলিমের নেতৃত্বে দুই দফায় হামলা এ হামলা চালায় বলে জানান আব্বাছ। এসময় সাংবাদিকের মাসহ পরিবারের ৫ জন আহত হন। তবে হামলার ঘটনায় ও মামলার আসামীকের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে ও আব্বাসের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সদর উপজেলার আটিয়াতলী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী সেলিমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে রাত সাড়ে ৭টার দিকে যাদৈয়া গ্রামের কমর উদ্দিন হাজী বাড়িতে যায়। এসময় আব্বাসের ভাই সোহেলের কাছে সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের টাকার চাঁদা দাবি করে। সোহেল টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। সন্ত্রাসীরা তাঁকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে ফের রাত ৯ টার দিকে লোকজন নিয়ে সেলিম সশস্ত্র হামলা করে। এতে আব্বাসের মা নাজমা বেগম, বাবা আবু তাহের, বোন রীমা আক্তার ও ভাই জাহাঙ্গীর আলম আহত হয়। আহতদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপর দিকে লক্ষ্মীপুরে প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়া কর্মরত সাংবাদিকরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এসময় সাংবাদিকদের বাড়িতে হামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করেন সাংবাদিক সমাজ।

সাংবাদিক আব্বাস হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ী সেলিম সন্ত্রাসীদের নিয়ে চাঁদা না পেয়ে ২ দফায় আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা এলাপাতাড়ি গুলি ছুঁড়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় মা-বাসহ পরিবারের ৫ জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত চলছে।

(এমআরএস/পিবি/মে ২৭,২০১৫)