জাহিবা হোসাইন, মংলা থেকে : পূর্ব সুন্দরবনের করমজল (মংলা) বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পিলপিল এবার ৬১টি ডিম দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে এ ডিম দেয় পিলপিল।

পরে সকালে সেখান থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে তা ইনকিউবেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে রাখা হয়েছে। ইনকিউবেটরের মধ্যে দীর্ঘ ৯০/৯১ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর ডিমগুলো হতে বাচ্চা ফুটে বের হবে। এর আগে গত ১২ মে (মঙ্গলবার) সকালে প্রজনন কেন্দ্রে থাকা অপর কুমির জুলিয়েটও ৫০টি ডিম দেয়।

এ প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের দেয়া ডিম সংগ্রহ ও তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন ‘বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ’ খুলনার ফরেস্টার আজাদ কবির ও ‘করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে’র প্রাণী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জাকির হোসেন। জাকির দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ ও বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবস্থিত এই বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে ২০২টি কুমির রয়েছে। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে এই কেন্দ্রের প্রায় ৭০টি প্রাপ্ত বয়স্ক কুমির সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।

২০০৫ সালে পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী ষ্টেশনের আওতাধীন করমজল এলাকায় গড়ে ওঠে দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী ও কুমির প্রজনন কেন্দ্র। রোমিও ও জুলিয়েট নামক দুটি কুমির নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই কেন্দ্রের কুমির প্রজননের।

(জেএইচ/এএস/মে ২৮, ২০১৫)