নরসিংদী প্রতিনিধি : ঝড়ের কবলে পরে নরসিংদীর মেঘনা নদীতে নৌকাডুবিতে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নরসিংদী ও মাধবদী ফায়ার সার্ভিস, নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ, ডুবুরি ও নরসিংদী সদর থানার যৌথ চেষ্টা চালিয়ে এসব লাশ উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনায় নিহত হলেন- সদর উপজেলার পাইকার চর এলাকার ফারুক মিয়ার চার সন্তান। বায়েজিদ (৮), ফয়সাল (৬) মেয়ে ওম্মে হানী (৪) ও সুমাইয়া (৮)। এছাড়া বগারগোদ এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে ফারজানা (৮), একই এলাকার মৃত সাহাজউদ্দিনের স্ত্রী নুরী বেগম (৬০) ও মৃত রুপু মিয়ার স্ত্রী ফালানী বেগম (৬০)।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আবুল কাশেম জানান, এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদীর পানি উত্তাল থাকায় উদ্ধার কাজে এ দেরি হয়েছে। এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধার কর্মীরা রয়েছে। তবে মনে হয় না আর কোনো লাশ পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পবার দুপুর আড়াইটায় নরসিংদীর সদর উপজেলার পুরানচর বাজার থেকে ৬০/৭০ যাত্রী নিয়ে স্থানীয় আমির হোসেন মাঝির ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি মেঘনার অপর তীর বগারগোত যাচ্ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে যায়। এ সময় অনেকে সাঁতরিয়ে কিনারায় উঠতে সক্ষম হলেও অন্তত ১০ জন নিখোঁজ হয়। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে উদ্ধার কাজে এ ধীর গতি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

(ওএস/অ/মে ২৯, ২০১৫)