রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার বৃহত্তর পাংশা উপজেলাকে বিভক্ত করে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত কালুখালী উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনের ভোটগ্রহন হবে ১৯ মে।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী সাইফুল ইসলাম (আনারস), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজবাড়ি থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক (মোটর সাইকেল), বিএনপি সমর্থিত কালুখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খান (দোয়াত কলম), স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএম আইনুল হাবীব (ঘোড়া), ভাইস চেয়ারমান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দেওয়ান আরাফাত হোসেন (তালা চাবি), বিএনপি সমর্থিত জামায়াত নেতা এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান (টিউবয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ডলি পারভিন (কলস) ও বিএনপি সমর্থিত শারমিন আক্তার (হাঁস) ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে দিন রাত ভোট ও দোয়া কামনা করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচন জমে উঠলেও ভোটগ্রহন সুষ্ঠু হবে কি-না সাধারন ভোটারদের মাঝে এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে একাধিক স্থানে সংঘর্ষ, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এমনকি বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকীর ওপর হামলা এবং তার ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও তিনি দাপটের সাথেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ১০ মে নূরে আলম সিদ্দিকী হক এবং ১৫ মে এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খান পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধাপ্রদান, সমর্থিত লোকজনের ভয় ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারাসহ গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নেএমএ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারেন সে পরিবেশ গঠনের জন্য তারা প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সর্বশক্তি দিয়ে দল সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ের লক্ষ্যে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে এলাকায় ছড়িয়ে পড়া নানা গুঞ্জনের মধ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শেষ পর্যায়ে এসে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণের মুখে-মুখে। আর সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগের কাজী সাইফুল ইসলাম, বিদ্রোহী প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী হক ও বিএনপির এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খানের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে এমনটিই ধারনা করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে।

জানা গেছে, রতনদিয়া, কালিকাপুর, বোয়ালিয়া, মদাপুর, মাজবাড়ী, মৃগী ও সাওরাইল ইউপি নিয়ে নবগঠিত কালুখালী উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ১ হাজার ৫৪৮। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৫২৭ জন পুরুষ ও ৫০ হাজার ২১ জন মহিলা ভোটার। ৪৩টি ভোট কেন্দ্রের ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৬টি কেন্দ্র অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চি‎‎হ্ণিত করা হয়েছে।

(এমএইচ/জেএ/মে ১৭, ২০১৪)